সংবাদ সূত্র রহস্য এবং রিপোটিং : প্রণব মজুমদার
প্রকাশিত:
৭ জুলাই ২০২১ ২০:২৫
আপডেট:
৭ জুলাই ২০২১ ২০:২৬

বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় সাংবাদিকতায় আমার হাতেখড়ি। সে অনেক আগের কথা। চাঁদপুরে থাকি তখন। রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা থেকে বের হয় সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা। সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ পারভেজ প্রেয়াত)। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিকুল হক (দাদুভাই)। কিশোর বাংলা তখন ট্যাবলয়েড পত্রিকা। ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি খবরও পাঠাই। পুরান আদালত পাড়ায় আমাদের বাসা। নিকট প্রতিবেশি চৌধুরী ভিলার বাসায় প্রসব করেছে ৩ পা বিশিষ্ট একটি বিড়াল! অদ্ভূত দৃশ্য! তা নিয়ে লিখলাম খবর। ছাপা হলো কিশোর বাংলায় আমার পাঠানো প্রথম খবরটি - বিড়ালের তিন পা। ছাপা খবরের মুখে লেখা - কিশোর সংবাদদাতা প্রণব কুমার মজুমদার। তা দেখে কী যে সীমাহীন আনন্দ! লেখকের সঙ্গে চাঁদপুরে আমার আরেকটি পরিচয় যুক্ত হলো। ক্ষুদে সাংবাদিক। সজ্জন ও আন্তরিক মানুষ স্থানীয় বামনেতা আবদুর রহমান (প্রয়াত) ডাকতে শুরু করলেন ‘ডেগা’ সাংবাদিক নামে। এ খেতাব স্থায়ী হয়ে গেলো আমার। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজেকে বিশাল কিছু ভাবতে শুরু করেছি। ডাকাতিয়া নদীর উপকূলে স্থায়ী চাঁদপুর প্রেস ক্লাব ভবন। তার আশেপাশে মাঝেমাঝে হাঁটি। চাঁদপুর থেকে সাপ্তাহিক মুক্তিবাণী, সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রবাসীর ডাকে এ সংবাদ পাঠাই। ছাপা হয়। গৃহশিক্ষকতায় অর্জিত সামান্য আয় খরচ করি সে পত্রিকা কিনেও। কেননা পত্রিকা কর্তৃপক্ষ মফঃস্বলের সাংবাদিকদের সৌজন্য সংখ্যা দেয় না। নিজেকে ভাবি বিখ্যাত সাংবাদিক ও দরবারই জহুর কলামের লেখক জহুর হোসেন চৌধুরী, কখনও অনিকেত খ্যাত নির্মল সেন, কখনও বা অনিরুদ্ধ ছন্দনামের সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত কিংবা হালচাল কলামের লেখক দর্শক মানে বজলুর রহমান। মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার ধাপ পেরিয়ে উচ্চতর পড়শোনার জন্য চলে এসেছি ঢাকায়। কিন্তু হৃদয় থেকে সাহিত্য ও সাংবাদিকতা মুছে ফেলতে পারিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠিন বিষয় হিসাবশাস্ত্রে শিক্ষা গ্রহণের সঙ্গে প্রদায়ক হিসেবে যুক্ত হই জাতীয় সাংবাদিকতায়। কাজ করি সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকায়। মাসে মাসে সম্মানীও যাপিত জীবনে যোগ হয়। কী অপার আনন্দ! সেই সময় দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে সংবাদ, ইত্তেফাক ও দৈনিক বাংলা বেশ জনপ্রিয় কাগজ। দৈনিক বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও বিটিভি উপস্থাপক হেদায়েত হুসেইন মোরশেদ (প্রয়াত) সে দৈনিকে শেষের পাতা কলামে বিশেষ ফিচার লেখেন। জনপ্রিয় নিয়মিত এ প্রতিবেদন ও ফিচারের আমিও একনিষ্ঠ পাঠক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় বাংলা একাডেমিতে পরিচয় হয়ে যায় একদিন সরাসরি। তারপর থেকে ওনার সঙ্গে আমার যোগাযোগ বাড়ে। দু’জনের মধ্যে তৈরি হয় ভালোবাসা। আলোচনা হয় প্রতিবেদন তৈরির কৌশল নিয়ে। জাতীয় পর্যায়ে অগ্রজের কাছে সে ছিলো আমার সাংবাদিকতায় প্রথম পাঠ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘ সময় প্রলম্বিত হয়। পরে অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের কাছেই ফিচার, কলাম, নিবন্ধ, অনুবাদ এবং প্রতিবেদন লেখার পদ্ধতি শিখেছি। বিশেষভাবে মনে পড়ে বিখ্যাত সাংবাদিক কাজী জাওয়াদুর রহমানের (প্রয়াত) কথা। হাতে কলমে শিখিয়েছেন তিনি আমায়ও। এখনও শিখছি। সর্বজনগ্রাহ্য সে মানুষের অধিকাংশই আজ বেঁচে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সনদ গ্রহণ শেষে ভালো ভালো সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সুযোগ পেয়েও নেশার কারণে প্রতিবেদন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করি। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় মূলধারার একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে রাজনীতি, অপরাধ ও অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতাই হয়েছে আমারও। পেশার দুর্বল কার্যক্রম সংক্রান্ত সে অভিজ্ঞতার অনেক ঘটনাই এতদিন অব্যক্ত থেকেছে।
নীতি মেনে প্রতিবেদন সাংবাদিকতা করতে হয় তা শুরুতে শিখিয়েছেন স্বনামখ্যাত সাংবাদিক এবং দিল্লির সাবেক প্রেস মিনিস্টার আতিকুর রহমান (প্রয়াত)। সাংবাদিকতার মধ্য গগনে এসে দেখতাম আমার সহকর্মি অনেকেই দায়িত্বশীল আচরণ না করে কিভাবে তারা পেশাকে পদদলিত করছেন! অনেকেই সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে না গিয়ে সূত্র হিসেবে লিখতেন খবর বিশ্বস্ত উৎস থেকে পাওয়া, সংশ্লিষ্ট বা নির্ভরযোগ্য সূত্রের। প্রধান প্রতিবেদক বা নগর সম্পাদকের কেউ প্রশ্ন ওঠালে জেরা করতেন। এ নিয়ে জিজ্ঞাসাকালে বলতেন সোর্সের নাম উল্লেখ করা বারণ আছে। তা প্রকাশ করলে পরে আর ‘নিউজ’ পাওয়া যাবে না! জ্যেষ্ঠরা তা মিনে নিতেন। প্রতি সপ্তাহে ৪/৫ টা বিশেষ আইটেম দেয়া যে মহা ফাঁকিবাজি তা বুজলাম নিজে যখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রতিবেদক হলাম। সংবাদপত্র মালিকের আত্মীয় এক প্রতিবেদক যিনি বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা থেকে বড় কর্তা, তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সূত্র বলুন। যদি এ প্রতিবেদন নিয়ে মামলা মোকদ্দমা তখন এর দায় কে নেবে? আমাকে না হয় নাই বলুন, আমি প্রকাশ করবো না কাউকে। কে দিয়েছেন তথ্য, তা বলুন? কোন বিভাগ থেকে পাওয়া এই সংবাদ? কিন্তু কিছুতেই সে বলতো না সে 'সোর্স'। পরে তার কপি সরাসরি পাঠাতাম নির্বাহী সম্পাদকের কাছে। আমি দায়মুক্ত হতাম। মালিকের চাটুকার সে নির্বাহী সেসব রিপোর্টকে প্রথম পাতায় ভালো ট্রিটমেন্ট দিতেন। আহা সাংবাদিকতা!
আরেক সহকর্মি যিনি দেখেও ইন্ট্রো (প্রতিবেদন মুখ) লিখতে পারতেন না। তাকে দেখতাম দুপুরে রিপোটিং সেকশনে যখন কেউ থাকতো না সে সময় পত্রিকার ফাইল থেকে পেপার কেটে তা পেষ্টিং করে নিজের সংগ্রহে রাখতেন। একাধিক পত্রিকার নানা সংবাদ ‘ককটেল’ করে বিশেষ প্রতিবেদন জমা দিতেন। মালিকের পরিচিত ছিলেন সেই প্রতিবেদক। দায়িত্বপ্রাপ্ত নিউজ এডিটরকে তার নেপথ্য চৌর্যবৃত্তির কথা বললেও কাজ হয়নি। বরং তাকে তিনি ভয় পেতেন, চাকরি চলে যাওয়ার শংকায়।
আরেক দৈনিকের নিকট অতীত এক ইতিহাস! এক প্রতিবেদক যিনি সাংবাদিক সংগঠনের বর্তমান তারকা নেতা। প্রতিদিন নগর সম্পাদককে একটি করে বিশেষ প্রতিবেদন দিতেন। আমি নিয়মিত ঘটনাবলী ও অনুষ্ঠানের এ্যাসাইমেন্টে কম যেতে চাইতাম। সপ্তাহে শ্রমলব্দ ২টির বেশি ‘স্পেশাল আইটেম’ দিতে পারতাম না। নিরব এবং নিবিষ্ট মনে নেপথ্যে কাজ করা প্রাণী আমি। তৈরি করা আমার রিপোর্ট প্রথম বা শেষের পাতায় কমই ছাপা হতো। মালিকের চাটুকার সেই নগর সম্পাদক বলতেন ‘ও’ দিতে পারলে আপনি কেন পারেন না? তখন আমি বলতাম সংখ্যা বেশি হলে মানসম্পন্ন প্রতিবেদন হয় না তা আপনিও জানেন! তাছাড়া ‘বিধাতাপ্রদত্ত মেধাসম্পন্ন’ রিপোর্টার তিনি। রহস্যের জাল ভেদ করতে চাইলাম। তাকে অনুসরণ করতে লাগলাম। অবশেষে ১৮ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হলাম। তিনি সংবাদ সম্মেলনের অ্যাসাইমেন্টে বেশি যেতেন। সম্মেলনে পাওয়া খাবার তিনি এনে উর্ধ্বতনদের বিলাতেন। সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য তিনি দীর্ঘ সময় রেখে দিতেন ড্রয়ারে। তার পাশেই ছিলো আমার কম্পিউটারের টেবিল ও আসন। কাজ সেরে গভীর রাতে একদিন ড্রয়ার তালা না মেরেই প্রগলভ প্রতিবেদক চলে যান বাড়ি। পরদিন ছিলো তার অফ ডে। দুপুরের মধ্যেই বিশেষ আইটেম দিতে হয়। সেদিন সকালেই চলে গেছি অফিসে। প্রতিবেদন শেষ করে নিজের অসমাপ্ত কাজ গুছিয়ে রাখছি। এমন সময় ঘটলো কাণ্ডটা! নিজের চেয়ার সরাতে গিয়ে পাশের সেই প্রতিবেদকের খোলা ড্রয়ার চিরে খসে পড়লো সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের অনেক কাগজ। রাবারের বন্ধনী এবং তেলাপোকার শুকনো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষ্টাও গড়াগড়ি খাচ্ছে চকচকে মেঝের টাইলসে। তুলে নিয়ে নিবিড়ে চোখ রাখি অনেক সময়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের একটি কাগজের তথ্য থেকেই সে মাসে দু’টি এবং আগের মাসে ৩টি বিশেষ আইটেম ছাপা হয়েছে দেখি! পূর্ববর্তিসহ ২ মাসের ফাইল দেখে তা নিশ্চিত হলাম। গোপনে নিচে দোকানে গিয়ে সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের অনুলিপি সংগ্রহে রাখলাম। ড্রয়ার রহস্য অনুল্লেখ রেখে নগর সম্পাদককে বিয়য়টি অবগত করলাম। তিনি বললেন ‘আপনিও করুন অসুবিধা কি!’ প্রশ্ন রেখে বললাম প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা না বলে এবং হালনাগাদ তথ্য ও উপাত্ত না দিয়ে প্রতিবেদন কী তৈরি করা যায়? আর তা কি রীতি বিরুদ্ধ নয়? খবরের নিয়ন্ত্রক ও সমবয়সী সেই উর্ধ্বতন সহকর্মি গান্ধী চশমার মতো গোল দৃষ্টি তার। কাঁচের স্বচ্ছ চশমা এবং পরিস্কার ও ফিটফাট পোশাক পরতেন তিনি। উত্তর শুনে তথাকথিত পণ্ডিতের মতো তিনি বললেন ‘এতো কথা বলার দরকার কী!’ নিরাশ হলাম নগর সম্পাদকের ‘জ্ঞানগর্ভ’ বয়ান শুনে! দুঃখজনক হলেও বলি, তার তত্ত্বাতধানে আমার পরিশ্রমের বিশেষ প্রতিবেদনও ভেতরের পাতায় গুরুত্বহীন জায়গায় ছাপা হতো। মনে পড়ে সেই নগর সম্পাদক যার নামের শুরু 'ম' আদ্যক্ষর দিয়ে তিনি একজন শিল্পপতির বিরুদ্ধে প্রকাশিত আমার তৈরি করা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ছাপিয়েছেন আমাকে না জানিয়ে! প্রতিবেদক হিসেবে আমার বক্তব্য তো নেনইনি, বরং আমাকে শাসিয়েছিলেন! পরে লক্ষ্য করি, ওই দুর্নীতিবাজ শিল্পপতির সঙ্গে 'গুণধর' নগর সম্পাদকের কী দহরম মহরম! পত্রিকা মালিক প্রকাশক সেই শিল্পপতির প্রতিষ্ঠান থেকে দেখি নিয়মিত বড় অংকের বিজ্ঞাপন পায়। সাংবাদিকতা পেশার নিয়ম ও শৃঙ্খলাকে কিভাবে অপমান করা হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। সেই দৈনিকটির প্রকাশনা এখনও বন্ধ! অযোগ্য ও অসৎ কর্মহীন নগর সম্পাদক পরে বেসরকারি একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে কাজের কিছুদিন পর এখনও বেকার!
সংবাদের প্রকৃত জায়গায় না গিয়ে শুধু খবর বিশ্বস্ত সূত্রের কিংবা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে এমন বাক্যের ওপর ভর করে প্রতিবেদন তৈরি করা বেশ অনৈতিক। এ সত্যটুকু শিখেছি বিশিষ্ট সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক ড. পার্থ চট্যোপাধ্যায় এবং পেশাগুরু অগ্রজ পরম শ্রদ্ধেয় কাজী জাওয়াদুর রহমানের কাছে।
মফঃস্বলের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকার একটি দৈনিকের নিজস্ব সংবাদদাতা যিনি বর্তমানে জাতীয় একটি দৈনিকের সম্পাদক আমার সেই সহকর্মি ছিলেন বেশ চাটুকার। মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ধ্বব্জাধারী ছিলেন তিনি। সেই প্রতিবেদক নির্ধারিত কর্মসময়ের আগে অফিসে আসতেন। মূল কাজ রিপোর্টিংয়ের বদলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তোষামোদিতে তিনি ছিলেন অনন্য। তিনিও প্রতিবেদন তৈরিতে বিশ্বস্ত বা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিতেন। ‘নিউজ স্পটে’ খুব কমই যেতেন তিনি। ডাইজেষ্ট রিপোর্ট মানে কয়েক মাসের প্রকাশিত প্রতিবেদনের পুঞ্জিভূত তথ্য উপাত্ত একত্র করে তৈরি করতেন রিপোর্ট। যেমন ছ’ মাসে মহানগরে অত খুন! ১ বছরে হরতালে তত কোটি টাকার ক্ষতি তাও মাত্র বিশ্বস্ত সূত্রের উৎস বরাত দিয়ে। কার সঙ্গে কথা না বলে বরং খবরের ভেতরে জনৈক কর্মকর্তার উল্লেখ করতেন। এসব খবরও লীড হতো তার। হায় সাংবাদিকতা! বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য বা সংশ্লিষ্ট সূত্র ব্যবহারের মধ্যে কী বিশাল দায়িত্বহীনতা! বড় ফাঁকিবাজি! মহান পেশার কী ভয়াবহ রূপ!
শুদ্ধতা যে কোন শিল্পের জন্যই কল্যানকর। সে তো আমাদের সাংবাদিকতার জন্য বটেই। সংবাদপত্র শিল্পের সাড়ে তিন দশকের দৃশ্যমান বাস্তবতায় আমার উপলব্জি ভালো না হলেও আমি আশাবাদী! ডিজিটাল যুগে আগামীর সংবাদপত্রে ‘দলবাজ’ ও ফাঁকিবাজ কর্মীদের স্থান থাকবে না। যদি সরকার অপেশাদারদের সংবাদপত্র প্রকাশের অনুমোদন না দেয়। সংবাদপত্রে অযোগ্য, অশিক্ষিত, দলবাজ, ফাঁকিবাজ, চাটুকার সংবাদ কর্মীদের অবাধ বিচরণ দৃশ্যমান! ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও অনিয়মের ডামাডোলে অশিক্ষিত ব্যবসায়ি এবং অপেশাদার পত্রিকা মালিকের সংপৃক্ততাও এর জন্য দায়ী।
প্রণব মজুমদার
সিদ্ধেশ্বরী, রমনা, ঢাকা
বিষয়: প্রণব মজুমদার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: