সিডনী সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


পাঁচ বছরেও ধরা পড়েনি জঙ্গি নেতা সালেহীন


প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০১৯ ১৬:৩৩

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ১৬:৪০

পাঁচ বছরেও ধরা পড়েনি জঙ্গি নেতা সালেহীন

 ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে প্রিজন ভ্যান থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) দুর্ধর্ষ তিন সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা। এ ঘটনার পাঁচ বছর পার হলেও ঘটনার মূল হোতা বর্তমানে নব্য জেএমবির আমির সালেহীন এখনো ধরা পড়েনি।



এদিকে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একের পর এক অভিযানে জঙ্গিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও গোপনে সংগঠিত হচ্ছে এরা। বিশেষ করে জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গিরা এ কাজে লিপ্ত রয়েছে।



গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, জামিনে বেরিয়ে আসা জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। জঙ্গি দমনে পুলিশের স্পেশালাইজড ফোর্স গঠনের পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, অপারেশনাল ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।



এ ছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারি এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে জঙ্গি আস্তানা, জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িতদের শনাক্তকরণের সুবিধার্থে এলাকাভিত্তিক ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।



প্রায় ৬শ জঙ্গি দেশের ৬৮ কারাগারে বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। যেসব চিহ্নিত জঙ্গি জামিন পাচ্ছে তাদের নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। এর আগে কারাগারে জঙ্গিদের বৈঠকের কথা শোনা গেলেও কারা কর্তৃপক্ষের দাবি জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানে বা গারদখানায় রাখার সময় তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে পারে।



জানা গেছে, গত সোমবার রাজধানীর শাহবাগ ও তেজগাঁও এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে সরকারবিরোধী লেখা পোস্টারসহ কম্পিউটার ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।



শুধু বাংলাদেশেই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিরা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে থেকেও নাশকতাসহ জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এমন অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ইসলামী স্টেট (আইএস) অনুপ্রাণিত বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (নিউ জেএমবি) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা।



ভারতের শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং এলাকায় মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া হাওড়া স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলামিন ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের কাছ থেকে ভিডিওসহ আইএস মতাদর্শের বেশকিছু আলামত জব্দ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জেএমবির সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে থাকলে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা থাকায় তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেখানে থেকেই বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালানোর ছক কষছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। ভারত পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা বর্ধমানের খাগড়াগড় চাঞ্চল্যকর বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top