সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা নিয়ে হতাশা শুদ্ধভাবে বাংলা বলুন : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৪৫

আপডেট:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৭

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশে ইংরেজি মাধ্যমে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বাংলা উচ্চারণের দৈন্যদশা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য অন্য ভাষা শেখার প্রয়োজন আছে। তবে সেটা মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে নয়। শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে পারার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব ও সৌন্দর্য নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভাষাবিদ পবিত্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনকার সময়ের অনেক ছেলেমেয়েকে দেখা যায় ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলার চেষ্টা করে। বাংলা বলতে তাদের কেমন যেন কষ্ট হয়। অথচ তারা এই দেশের আলো-বাতাসে, এই দেশের মাটিতেই বড় হয়েছে। যারা বাংলাদেশের মাটিতে বড় হয়ে বাংলা বলতে পারে না, ইংরেজি উচ্চারণে কথা বলে, তাদের জন্য করুণা করা ছাড়া কিছুই বলার নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন প্রবাসে নির্বাসিত জীবনযাপনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরিবারের অনেককে ছোটবেলায় বিদেশে থাকতে হয়েছে। তবু আমরা তাদেরকে বাংলাটা গুরুত্ব দিয়ে শিখিয়েছি। যেন তারা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে এবং তারা বলেও। তাদের উচ্চারণে যদি কোনো সমস্যা হয় সেখানে দোষ ধরার কিছু নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বরং নিজের দেশের, নিজের গ্রামের কথা বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। বক্তৃতায় আমরা গোপালগঞ্জের ভাষা আর ঢাকার ভাষা মিলিয়েই বলি। কারণ ছোটবেলায় চলে এসেছি ঢাকা শহরে, সেই ভাষার প্রভাব। আর টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে জন্ম নিয়েছি সেটা একটা প্রভাব, সব মিলিয়েই বলি। এর মধ্যে কোনো লজ্জা নেই।

বাংলার আঞ্চলিক ভাষার সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয় ভাষণগুলোর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জাতির পিতার ভাষণে একেবারে গোপালগঞ্জের শব্দগুলো তিনি বলে গেছেন অকাতরে যা মানুষের ভেতরে একটা আবেদন সৃষ্টি করেছে। তিনি খুব দ্রুত মানুষের হৃদয়ে পৌঁছতে পেরেছেন। সে কারণে তিনি যখন নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেছে।

একুশে ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পাওয়ার পর ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ দিকে এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও পরে সরকার পরিবর্তনে কাজ থমকে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে ইনস্টিটিউটের অবশিষ্ট কাজ শেষ করা হয়।

সূত্র: বাসস


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top