সিডনী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াতির ভর্তি ও জ্ঞানপাপীদের মিথ্যাচার প্রসঙ্গে- নুরুল হক নুর


প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৪৭

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১৯:০১

জালিয়াতির ভর্তি ও জ্ঞানপাপীদের মিথ্যাচার প্রসঙ্গে- নুরুল হক নুর

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। পাঠকদের জন্য সে স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো.



১৯৯২ সালের পূর্বে কলেজগুলো ঢাবির অধীনে ছিল। এখন যার অধিকাংশই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৯৮০ সালের পূর্বে পরীক্ষা ছাড়াই ঢাবিতে অনার্স, মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যেত। এখন সে সুযোগ নেই। আগে শুধুমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা হতো, এখন এমসিকিউ এর সাথে রিটেনও দিতে হয়।



সুতরাং ৯০ এর পূর্ববর্তী সময়ে মান্না ভাই, আখতার ভাই কিংবা মোস্তাক ভাইয়ের ভর্তির সাথে বর্তমানের তুলনা মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়।



বর্তমান নিয়মানুযায়ী নিজ বিভাগ ব্যতীত অন্য বিভাগের মাস্টার্সের সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হতে চাইলেও আপনাকে অনার্সের মতো পরীক্ষা দিয়েই ভর্তি হতে হবে। আর প্রফেশনাল কোর্সগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা, অ্যাকাডেমিক ও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা সাপেক্ষে ভর্তি করা হয়ে থাকে।

সুতরাং আপনি ঢাবির শিক্ষার্থী হলেও অন্য বিভাগের ইভিনিংয়ে চিরকুট, সুপারিশের মাধ্যমে ভর্তির কোন ধরণের সুযোগ নাই।



ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট নামক প্রফেশনাল কোর্সটিতে ছাত্রলীগের ৩৪ জন নেতাকে ভর্তির ক্ষেত্রে কোন ধরণের নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। ওই বিভাগ নভেম্বরে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরীক্ষা, ভাইভা নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জানুয়ারি মাসে ক্লাস শুরু করেছে। অথচ ছাত্রলীগের নেতাদের ভর্তি করেছে ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর।



যদিও বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়ার পর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন একটা মনগড়া ব্যাখা দিয়েছেন যে ১৭ বা ১৮ সালের মার্চ বা এপ্রিলে ঢাবির শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তির একটা সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানস কমটিতে নেওয়া হয়েছে। সে সিদ্ধান্তের কোন ডকুমেন্টস তিনি দেখাতে পারেনি।

অধিকন্তু, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট এর অনুমোদন ব্যতীত চেয়ারম্যানস কমিটির অ্যাকাডেমিক বিষয়ে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন এখতিয়ারও নেই।



আরেকটি কথা বলা হচ্ছে যে এটি নাকি ঢাবির কোন কোর্স নয়, ওই বিভাগ অভ্যন্তরীণভাবে এটি পরিচালনা করে থাকে। এটি একটি বেয়াক্কেলি মন্তব্য। তারপরে আরেকটি বিষয়, রোকেয়া হলে কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং হল প্রভোস্ট ও ভিপি-জিএস এর বিরুদ্ধে।



এখন আপনাদের ভাবতে হবে এ ধরণের জালিয়াতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনারা সোচ্চার হবেন নাকি, মেনে নিয়ে চেপে যাবেন। তবে ঢাবির ইতিহাস অন্যায়-অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠার ইতিহাস।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top