সিডনী সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার কতটা নিরাপদ


প্রকাশিত:
৭ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৫

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ২১:৪১

হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার কতটা নিরাপদ

রোগ-জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক কমে যায় বলেই মনে করেন সবাই। কিন্তু, এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার কতটা বিপজ্জনক তা জানেন কি?



অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক



হ্যান্ড স্যানিটাইজার এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে। ফলে, ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ শরীরে অনেক বেশি বেড়ে যায়। বিশেষ করে, ‘গুড ব্যাকটেরিয়া’র বদলে ‘ব্যাড ব্যাকটেরিয়া’ এক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে বেশি। যারা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বদলে সাবান ও পানি ব্যবহার করেন, তাদের গ্যাস্ট্রোএন্টেরিটিস তৈরি করে এমন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছয় শতাংশ বেশি থাকে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারে থাকা ট্রাইক্লোজেন এই একই কাজটি করে থাকে।



অ্যালকোহলের বিষাক্ততা



আপনার হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ট্রাইক্লোজেন না থাকলেওও কিন্তু বিপদ কমে যাবে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজারে এক ধরনের অ্যালকোহল থাকে যেটি কিনা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তবে একই সঙ্গে এটি মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বাসায় যদি কোনো শিশু থাকে, তাহলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপদজনক ব্যাপার হতে পারে। কারণ, কোনোভাবে যদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার শিশু পান করে ফেলে তাহলেই সেটা তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে।



হরমোনের সমস্যা তৈরি



গবেষণায় দেখা যায় যে, হ্যান্ড স্যানিটারজার ব্যবহার করলে মানব শরীরে হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। এজন্য মূলত, হ্যান্ড স্যানিটাইজারে বিদ্যমান ট্রাইক্লোজেন সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখে। এই হরমোনের কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া যে শরীরকে ঠিক কিভাবে প্রভাবিত করবে সেটা সম্পর্কে নিশ্চিত বলা যায় না।  



রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়



ট্রাইক্লোজেন মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও অনেক কমিয়ে দেয়। এটি শরীরে অসুখ অনুপ্রবেশের সম্ভাবনাকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণায় দেখা যায় যে, ট্রাইক্লোজেনের কারণের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গেলে এতে করে মানুষের শরীরে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বিসফেনল ‘এ’-এর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। এতে করে মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে জ্বর ও নানারকম অ্যালার্জিতে ভোগার পরিমাণ বেড়ে যায়।



বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ



যদি হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি সুগন্ধিযুক্ত হয়, তবে এতে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারে নানারকম রাসায়নিক মেশানো হয়। যেগুলোর মধ্যে কিছু বিষাক্ত রাসায়নিকও থাকে। হরমোনের সমস্যা, জেনেটিকাল সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যা- এই সবকিছুর কারণ হিসেবে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার কাজ করে।  



হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাইতে সাবান ও পানি বেশি সুরক্ষা দেয়। শরীরের জন্যও এটি বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই চেষ্টা করুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করার। আর যদি করতেও হয়, তাহলে সেগুলো বাসার শিশুর হাত থেকে দূরে রাখুন। রাসায়নিক পদার্থ কম আছে এমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে। এতে করে নিজেকে আরও বেশি সুস্থ আর সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top