সিডনী সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


এডিস মশার অজানা অধ্যায়


প্রকাশিত:
৬ আগস্ট ২০১৯ ২৩:৩৪

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ২১:৫৮

এডিস মশার অজানা অধ্যায়

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বর্তমানে দেশে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বেড়েই চলেছে। আর কিভাবে বাড়ছে এই ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা সেটা নিয়ে প্রভাত ফেরীর এ আয়োজন...



প্রথমেই বলে রাখি, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।  পুরুষ স্ত্রী এডিস মশা একবার মাত্র যৌন সঙ্গমে মিলিত হয়। এরপর স্ত্রী প্রজাতির মশার প্রথম কাজ হয় ডিম পাড়ার জন্য রক্ত নেয়া। তখন রক্তের জন্য পাগলের মতো ছোটাছুটি করে। অন্যান্য সাধারণ মশা কিউলেক্স এনোফিলিস মশা একবার কামড়িয়েই রক্ত শুষে নেয়। কিন্তু এডিস মশার বৈশিষ্ট হচ্ছে, সে চার পাঁচ জন মানুষের দেহ থেকে একটু একটু করে রক্ত শুষে নেয়। সেই রক্ত দেহের স্যালিভারি গ্লান্ড বা লালাগ্রন্থির ভেতর পর্যন্ত যখন পৌঁছে, তখন সে ইনফেক্টেড মশা বা জীবাণুবাহিত মশায় পরিণত হয়। এই ইনফেক্টেড মশা যখন মানুষের কাছে রক্ত নিতে যায় তখন সে একটা ফ্লুইড ছাড়ে যাতে রক্তটা জমে না যায়। তখন রক্তে ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মানুষ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়।



এডিসের ভাইরাস মানুষের দেহে পাঁচ-ছয়দিন পর্যন্ত থাকে। ঠিক এই সময় যদি কোন আন-ইনফেক্টেড বা অসংক্রামিত এডিশ মশা রক্ত নেয় তখন সেও ওই ভাইরাস বহন করে। ওই মশা যখন অন্য সুস্থ মানুষকে কামড়ায় তখন সেই মানুষটিও আক্রান্ত হতে পারে।



এডিস মশা সারাদিনই কামড়ায় কিন্তু বেশি কামড়ায় সকাল সন্ধ্যায়। রাতের উজ্জ্বল আলোতেও এডিস মশা কামড়াতে পারে।



এডিস মশা শুধু পায়ে কামড়ায়- কথা ভিত্তিহীন।



কিউলেক্স মশার চেয়ে এডিস মশা আকারে ছোট। আনুপাতিকহারে এডিস মশা কিউলেক্স মশার চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম



তবে এরা জন্ম নেয় বদ্ধ হয়ে থাকা পরিষ্কার পানিতে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top