সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ৯ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


নিউজিল্যান্ডের চার্চের পাদ্রির ইসলাম বিরোধী পোষ্টে ব্যাপক সমালোচনা


প্রকাশিত:
১৯ জুন ২০১৯ ০৬:৩৫

আপডেট:
৯ মে ২০২৪ ১৫:২৬

নিউজিল্যান্ডের  চার্চের পাদ্রির ইসলাম বিরোধী পোষ্টে ব্যাপক সমালোচনা

নিউজিল্যান্ডের ডেসটিনি চার্চের পাদ্রি ব্রায়ান তামাকি তাঁর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নিউজিল্যান্ডের মানুষকে মুসলমানদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর তাঁর এ বক্তব্য নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে।



ব্রায়ান লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের দেশে ইসলামের বিস্তার মেনে নিতে পারি না। আমি মনে করি, আমরা সহনশীল, অন্য ধর্মের ব্যাপারে ইতিবাচক। কিন্তু আমরা ব্রিটেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের অবস্থায় পড়তে চাই না। ইউরোপের বেশিরভাগই সন্ত্রাসকবলিত। আজ তাঁরা আত্মপরিচয় হারিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে তাঁদের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি। কেননা, তাঁরা খ্রিস্টান ধর্ম থেকে সরে এসেছে।’



লিখেছেন, ‘পশ্চিমা সভ্যতা এখন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিজস্ব ভিত্তি থেকে সরে গেছে সেখানকার সমাজ ব্যবস্থা। তবে খ্রিস্টান ধর্ম অনেকে প্রত্যাখ্যান করলেও এই ধর্ম যথেষ্ট অগ্রগতির পর্যায়ে রয়েছে।’



বেশ কয়েকজন মন্তব্যকারী ব্রায়ানের মন্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন। পশ্চিমাদেরকে তাঁরা ‘নষ্ট’ ও ‘ননসেন্স’ বলে গালিও দিয়েছেন। একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘ঔপনিবেশিক শাসনই এইসব দেশে খ্রিস্টান ধর্ম মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এখন তারা এই ধর্ম থেকে অনেক দূরে। কিন্তু, তাঁরা যেন ইসলামের ফাঁদে না পড়ে। এই ধর্মের প্রতি যেন ঘৃণা প্রদর্শন করে।



গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজ চলাকালে ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলায় ৫১ জন নিহত হয়। ওই ঘটনায়ও মুসলমানদের সমালোচনা করেছিলেন ব্রায়ান। তিনি বলেছিলেন, হামলার পরের শুক্রবার নামাজের জন্য মুসলমানদের আহ্বান সম্প্রচার করা ছিল নিউজিল্যান্ডকে মুসলিম দেশে পরিণত করার একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মুসলিম পক্ষপাতিত্বের কারণে নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে পড়ছে।



পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, ইসলামে যা রয়েছে তার দ্বিগুণ উপস্থাপন করে মুসলমানরা। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কেন নিউজিল্যান্ড সরকার ও গণমাধ্যম মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকে। এই প্রশ্নগুলো কেন করা হয় না, ‘মুসলমানরা কী সমকামিতা বা বিয়ের আগে যৌনকর্মে বিশ্বাসী? তাদের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়?- প্রশ্নগুলো না করার কারণ কী এই যে, আমরা ভীত?


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top