এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান গ্রেফতার
প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫২
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯

প্রভাত ফেরী: অভিযোগে ‘এহসান গ্রুপ পিরোজপুর-বাংলাদেশ’ নামের এক কোম্পানির চেয়ারম্যান রাগীব আহসান এবং তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে সতেরো হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের উপপরিচালক মেজর রইসুল আজম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকালে এক বার্তায় র্যাব বলেছে, ব্যবসার নামে বিভিন্নভাবে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন এই রাগীব হাসান।
জানা যায়, গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় না করে রাগীব আহসান এবং তার আত্মীয়স্বজনের নামে জমি ক্রয় করেন। সেসব জমির ৯০ শতাংশ গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। এহসান গ্রুপের ১৭ প্রতিষ্ঠানের ১৬টিই উধাও হয়ে গেছে।
এহসান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডসহ কয়েকটি মাদ্রাসা খুলে ওই কোম্পানি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলাও হয়েছে এর আগে।
সুদবিহীন ‘শরিয়তসম্মত’ ব্যবসার নামে বিপুল গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে।
রাগীব আহসান নূরে মদিনা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। একসময় তিনি মসজিদের ইমাম ছিলেন। বাড়ি পিরোজপুর সদরের খলিশাখালী এলাকায়।
এহসান একটা সময় এমএলএম ব্যবসা শুরু করেন এবং ২০১০ সালে এহসান রিয়েল অ্যাস্টেট নামে একটি কোম্পানি খোলেন। পরে আরও ডজনখানেক কোম্পানি খুলে তিনি নাম দেন ‘এহসান গ্রুপ পিরোজপুর-বাংলাদেশ’ ।
চলতি বছরের শুরুতে গণমাধ্যমে খবর আসে— মাসে মাসে ভালো মুনাফার লোভ দেখিয়ে পিরোজপুর ও আশপাশের জেলার কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পর ওই গ্রুপের কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়ে গেছেন। এর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে শুরু করে। পরিপ্রেক্ষিতের তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: