দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:৪৯

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনকে অর্থবহ করে তাদের জীবনমান উন্নত করতে চাই। আমার বাবারও এটিই লক্ষ্য ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোকের মাসে আমরা এই পেনশন স্কিম উদ্বোধন করছি; কারণ আমার পিতা হয়তো দেখবেন, তিনি খুশি হবেন। তার প্রিয় দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা সর্বজনীন পেনশন চালু করছি। এতে তাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা থাকবে।


সম্মানের সঙ্গে সবাইকে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়াই লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর দেশের অবস্থা এমন করা হয়েছে, না ছিল ভোটের অধিকার, না ছিল ভাতের অধিকার। আমরা সে অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। মনে রাখতে হবে, জাতির পিতা যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেটা যাতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়।

সর্বজনীন পেনশনের ফলে বৈষম্য দূর হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বৃদ্ধ বয়সে অনেকে পরিবারের কাছেই বোঝা হয়ে যান। পরিবারের কাছে যেন মূল্য থাকে, কেউ যেন বোঝা হয়ে না যান, এই কর্মসূচি তাতে ভূমিকা রাখবে। বৃদ্ধ বয়সে হাত পাততে হবে না।


এদিকে অর্থ বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, আজ থেকেই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে এর জন্য তাকে টানা ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। এরপর তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সেই বয়স থেকে পেনশন শুরু হবে।

বাকিদের ক্ষেত্রে পেনশন দেওয়া শুরু হবে ৬০ বছর বয়সের পর। এরপর তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন মাসে মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পাবেন। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ বছর তার নমিনি পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা অনুযায়ী এ নিয়মই অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিধিমালা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা। বিধিমালায় আজীবন পেনশনের ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট কিছু বলা নেই।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top