দুর্নীতি নয়, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:১২
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯

নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে দেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করব। যেই চেতনা নিয়ে আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সারা জীবন কষ্ট সহ্য করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করব। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশে ফিরেছিলাম। তারপর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা নাকি মানবাধিকারের কথা বলে। ১৫ আগস্ট যখন আমার মা বাবা ভাই সব হারালাম, আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না? আমারও তো বিচার চাইতে পারিনি। ৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বাধা অতিক্রম করে ফিরে এসেছিলাম। এক রকম জোর করেই দেশে এসেছিলাম।
উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আজকে আমার একটাই লক্ষ্য এই বাংলাদেশটাকে উন্নত করা। সুকান্তের ভাষায় তাই বলতে চাই- এই বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবযাতকের কাছে এই আমার অঙ্গীকার।
শেখ হাসিনা বলেন, উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। আমি সেই আদর্শ নিয়েই পথ চলি। আমার কোনো ভয় নেই। এদেশের মানুষকে ভালোবাসি, স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে তাদের মনের দরজাই অন্ধকার। আর পরাজিত শক্তির পদলেহনকারী। সে জন্য মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন তারা দেখে না। হাওয়া ভবন খুলে খাওয়া খেতে পারছে না বলে তাদের যত দুঃখ।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ফিক্সড ইনকামের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। প্রত্যেকে উৎপাদনে নজর দিলে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে নিজের নগদ টাকায় কেনা খাদ্যশস্য আসতে দেয়নি। কৃত্রিম উপায়ে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেই কথা মাথায় রেখে আমাদের খাদ্য আমরা উৎপাদন করব এবং উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে সঠিক নেতৃত্ব দরকার। আশা করি ছাত্রলীগের নেতারা নিজেদের সেই নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলবেন। যেখানে থাকবে, সেখানে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দেবে, সেটাই আমরা চাই।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: