সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


কমলাপুরে জনস্রোত, চরম বিপর্যয়ে ট্রেনের যাত্রীরা


প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০১৯ ০৩:০১

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০২:১৭

কমলাপুরে জনস্রোত, চরম বিপর্যয়ে ট্রেনের যাত্রীরা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ইট- পাথর আর কংক্রিটের শহর ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে রাজধানীবাসী। ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গিয়ে পড়তে হয়েছে নানা বিড়ম্বনায়। টিকিটপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘরে ফেরা মানুষদের। শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ, আসন না পাওয়ার ভোগান্তি মেনে নিয়েই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ।



কমলাপুর ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনেই ছিল প্রচণ্ড ভিড় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের পরে ছেড়ে গেছে। উত্তর বঙ্গের ট্রেনগুলো তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছেড়েছে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। গত দুই দিনে কমবেশি বিলম্ব হলেও ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন আজ (শুক্রবার, ৯ আগস্ট) এ চিত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।



শিডিউল বিপর্যয়ে উত্তরের সব ট্রেন



কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস শুক্রবার সকাল ছয়টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশনে এসে পৌঁছায় সকাল সোয়া ১০টার পরে। এরপর ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় ১০টা ৪০ মিনিটে বলা হলেও ছেড়ে যায় সকাল ১১টায়।



চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টায় স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে ছাড়ার নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।  



নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী এরশাদ আলী বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে মানুষ ঘরে ফিরে। সড়কে যানজট, খানাখন্দ, যে কারণে ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। টিকিট পাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে কাউন্টারের লাইনে। আর যাত্রা পথে ট্রেনের ভেতরে থাকবে অতিরিক্ত যাত্রী চাপ। সকাল ৮টায় ট্রেনটি ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ট্রেন প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছাতে পারেনি। ঈদের সময় মানুষের এত বিড়াম্বিনা ভোগান্তি নিরসনে কোনোবারই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হয় না। আর আমাদের মতো অসহায় যাত্রীদের এভাবেই ভোগান্তিকে সঙ্গী করে বাড়ি ফিরতে হয়।



যা বলছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ



স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিনই আমরা ধারণা করেছিলাম ৯ আগস্ট যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় হবে। এরমধ্যেই আমরা চেষ্টা করছি সিডিউল ঠিক রাখতে। তারপরও কয়েকটা ট্রেনের বিলম্ব হয়েছে।



কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়া আসার সময় প্রতিটি স্টেশনে উঠা নামা করতে যেখানে দুই মিনিট অপেক্ষা করার কথা সেখানে ৫/১০ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ কারণে ট্রেনগুলো পৌঁছাতেও কিছুটা দেরি করছে। তবে চেষ্টা করছি যেন সঠিক সময়েই সব ট্রেন ছেড়ে যায়। যে ট্রেনগুলো কমলাপুর পৌঁছাতে দেরি করছে, সেই ট্রেনগুলোই ছেড়ে যেতেও দেরি করছে। ঈদ যাত্রায় আমরা চেষ্টা করছি যেন সব ট্রেনই ঠিকমতো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। যাত্রী চাপ সামলাতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।



রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ১২টা পর্যন্ত স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। দিনাজপুর-পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ১০টায়। পরে সেটি স্টেশন ছেড়েছে সকাল সাড়ে ১১টায়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top