সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ফাঁকা ঢাকায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী


প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৩

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৩:৩৭

ফাঁকা ঢাকায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: যানজটময় রাজধানী ঢাকা এখন পুরাই ফাঁকা। আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করার আশায় গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ। আর এই ফাঁকা শহরে যাতে করে কোন প্রকার অপরাধ সংঘটিত না হয়, সে ব্যাপারে তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।



ঈদে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে দশ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি থাকছে র‌্যাব এপিবিএন সদস্যরাও। খুন, চুরি, ডাকাতি কিংবা যেকোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা এই সতর্ক অবস্থানে থাকবে ঈদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত।



রাজধানীতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে আর সেই লক্ষ্যে ঈদগাহ মাঠগুলোতে জামাত শুরুর আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ডিএমপি। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবে র‌্যাব সদস্যরাও। স্ব স্ব এলাকায় থানা পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে বাড়ানো হবে ‘ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং’।



ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ফাঁকা রাজধানীতে ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই এড়াতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন। এজন্য বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। পাশাপাশি থাকছে টহল পুলিশও।



তেজগাঁওয়ের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটি থানার ওসিকে নিরাপত্তা বাড়াতে বলা হয়েছে। আমাদের মোবাইল টিম, হুন্ডা পার্টি টহলে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। প্রত্যেকটি বিটের প্রধানকে স্ব স্ব এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে থানার ওসিকে ব্রিফ করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি এলাকা আলাদাভাবে ঈদ উপলক্ষে ভাগ করে এডিসি ও এসিদের তত্ত্বাবধানে দেখভাল করতে বলা হয়েছে।



ঈদ জামাতের নিরাপত্তা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদুল আজহার জামাতে আগত মুসল্লীরা জায়নামাজ ও বৃষ্টি হলে ছাতা সাথে নিয়ে ঈদগাহে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা তল্লাশির পর সেগুলো নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশের অনুমতি দেবে পুলিশ। 



আর এদিকে ঈদ জামাতকে ঘিরে জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। এর মধ্যে পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ, সোয়াত, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ওয়াচ-টাওয়ার, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্য দিয়েই মুসল্লিদের ঈদ জামাতে প্রবেশ করতে হবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top