অস্ট্রেলিয়ার সুপারমার্কেটে তাৎক্ষনিক পাওয়া যাবে করোনা পরীক্ষার পণ্য
প্রকাশিত:
৩১ অক্টোবর ২০২১ ২১:২৩
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৯

প্রভাত ফেরী: বাসায় বা কর্মস্থলে স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই করোনা পরীক্ষা করা যায়। অস্ট্রেলিয়ার সুপারমার্কেটে নভেম্বর থেকে সব ধরণের পণ্যের পাশাপাশি এই টেস্টিং কিট পাওয়া যাবে । এই ‘র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট’ এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল ১৫ মিনিটে পাওয়া যায়।
চিকিৎসাপণ্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা নয় প্রকারের পরীক্ষা পণ্য অনুমোদন করেছে, আরও বিভিন্ন প্রকারের পরীক্ষণ উপকরণ চূড়ান্ত মূল্যায়ন পর্যায়ে আছে।
কোলস সুপারমার্কেটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সামনের সপ্তাহ থেকে হাফ ফার্মার তৈরি নাকে দিয়ে কোভিড পরীক্ষার উপকরণ বিপণন করবেন। হাফ ফার্মা কোভিড এন্টিজেন নাজাল টেস্ট (Hough Pharma COVID Antigen Nasal Test) প্যাকেটে দুইটি ও পাঁচটি পরীক্ষণ উপকরণ থাকে।
ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড, নর্দার্ন টেরিটোরি, এসিটি এবং টাসমানিয়াতে অবস্থিত কোলসের অনলাইন মার্কেটেও এই পণ্য পাওয়া যাবে। হাফ ফার্মার দুই টেস্টের প্যাকেজটির দাম ৩০ ডলার এবং পাঁচটির প্যাকেটের দাম ৫০ ডলার।
কোলসের মত উলওয়ার্থসও অনুমোদিত কোভিড পরীক্ষার উপকরণ বিক্রী করবে বলে জানিয়েছেন উলওয়ার্থসের একজন মুখপাত্র।
উলওয়ার্থস পরিচালিত অনলাইন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্লাটফর্ম ‘হেলদি লাইফ’এ হাফ ফার্মার টেস্ট কিট আগামীকাল সোমবার, ১ নভেম্বর থেকে পাওয়া যাবে। ক্রেতারা চাইলে আগে অগ্রিম কেনার অর্ডার দিতে পারবেন।
সাউথ অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্টার্ণ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের বিধিবিধানের কারণে সেখানে এইসব পণ্য পাঠানো যাচ্ছেনা।
বিভিন্ন জ্বালানী ও রকমারি পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র যেমন সেভেন-ইলেভেন, এমপল এবং কোলস এক্সপ্রেসে নভেম্বর মাস থেকে এই টেস্টিং পণ্য পাওয়া যাবে।
অস্ট্রেলিয়ান এসোসিয়েশন অফ কনভেনিয়েন্স স্টোরস এর প্রধান নির্বাহী থিও ফুক্কারে জানান, তারা ব্যাপকভাবে হাফ ফার্মার টেস্ট পণ্য মজুদ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গত বুধবার বলেন, মেডিকেয়ারের মাধ্যমে বিনামূল্যে র্যাপিড টেস্ট দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই পরীক্ষা পণ্য বিক্রি করতে কোন বিধিনিষেধ না থাকলেও তার বিজ্ঞাপণ নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ আছে।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ফেলো মাইকেল লিডিয়ামোর জানান, বিদেশে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টিং বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে; বিশেষ করে যেখানে শনাক্ত হওয়া কেইস অনুসরণ করা কঠিন।
ডক্টর লিডিয়ামোর বলেন, আমরা অতিমারী পরবর্তী সময়ে প্রবেশ করেছি। এই পরিস্থিতিতে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট খুব কাজে দেবে। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো রোগের গতিপ্রকৃতি বুঝতে পারবো, কি কি খোলা থাকবে আর কি বন্ধ করতে হবে সেসব বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট সহজলভ্য কিন্তু কম কার্যকর কোন টেস্ট বর্তমানে কার্যকর বলে প্রমাণিত পিসিআর টেস্টের পরিপূরক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,
এটি কোন স্বতঃসিদ্ধ রোগ নিরূপক সরঞ্জাম নয়, বরং এটি একটি সহায়ক বা অতিরিক্ত মূল্যায়ন ব্যবস্থা।
এই টেস্টের সময় নাকের ভেতরের নমুনা বা লালা পরীক্ষা করে ভাইরাসের উপস্থিতি বা রোগ নিরূপণ করা হয়।
ওষুধ পণ্য প্রশাসনের বিধান অনুযায়ী এই টেস্টের ফল পজিটিভ হলে তাকে অবিলম্বে পিসিআর টেস্ট করে রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। এ পর্যন্ত এই পিসিআর টেস্টই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য করোনাভাইরাস নিরূপণ ব্যবস্থা।
বিষয়: অস্ট্রেলিয়া খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: