নাফ নদীতে সাঁতরেই ইয়াবা আনছে রোহিঙ্গারা
প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৪৪
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:২৪

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফ এলাকায় নাফ নদীতে সাঁতরেই ইয়াবা আনছে সাঁতারে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত একদল রোহিঙ্গা। যারা সাঁতারে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ইয়াবা আনার জন্যই তারা এই সাঁতার প্রশিক্ষণরপ্ত করেছে। জানা গেছে, নাফ নদীর টেকনাফ অঞ্চলের অন্তত ২০টি পয়েন্ট দিয়ে সাঁতরে ও নৌকাযোগে ইয়াবা আনছে রোহিঙ্গা মাদকচক্র। ইয়াবাগুলো টেকনাফে আনার পর বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ইয়াবাগুলো আনা হয় বিশেষ এক পলিথিনের ভিতরে, যাতে পানিতে কোনভাবেই তা ভিজে না যায়।
গত এক সপ্তাহ কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে অবস্থানকালে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। অনুসন্ধানে জানা যায়, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাদক কারবারে জড়িত পুরুষদের অনেকেই সাঁতারের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমানায় ইয়াবার চালান আনছে প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গারা সাঁতারুরা। সম্প্রতি এই প্রক্রিয়ায় ইয়াবার চালান বহনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারাই সবচেয়ে ইয়াবার চালান বাংলাদেশে পাচার করছে। এর মধ্যে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির রোহিঙ্গা সাঁতরে ছোট-বড় ইয়াবার চালান আনছে। দীর্ঘ ও জোয়ার ভাটার এই নদী সাঁতরে ইয়াবার চালান আনার বিষয়টি সত্যিই বিস্ময়কর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে নাফ নদীর টেকনাফ সীমানার অন্তত ২০টি পয়েন্ট দিয়ে এসব প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা সাঁতারু চক্র ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে বেশি। বিস্তীর্ণ নাফ নদীর ওইসব পয়েন্টের অনেক স্থানই সরু খালের মতো। ভাটার সময় সেসব পয়েন্টে হাঁটু পানি থাকে। এ কারণে অনেক সময় সাঁতরানোরও প্রয়োজন পড়ে না। কোনোমতে নদী পার হলেই পাহাড় বা ঘন জঙ্গলের মধ্যে সহজেই আত্মগোপন করতে পারে মাদকচক্র।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: