এরশাদের আসনে উপনির্বাচনে সাদের পথে বড় বাধা আসিফ
প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:৩২
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:২৫

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের মাঠ এখন বেশ সরগরম। মূলত আসনটি জাতীয় পার্টির। কারণ এই আসনেই সর্বশেষ এমপি হিসেবে ছিলেন জাতীয় পার্টির হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। কিন্তু নিজেদের এই আসনে প্রার্থী নিয়ে জাতীয় পার্টি বলতে গেলে এখন তিন ভাগে বিভক্ত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রত্যাহার করায় দলের নেতাকর্মীরাও নিষ্ক্রিয়। বিএনপির প্রার্থী নিয়েও দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যে কারণে দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।
এ অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ আলোচনায় চলে এসেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহী সাদের বিজয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনি। এমন আভাসই মিলছে ভোটারসহ স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে। এছাড়া ৫ অক্টোবর সনাতন ধর্ম্বালম্বীদের সপ্তমীর দিন হওয়ায় হিন্দু ভোটাররা ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এক্ষেত্রে মহাজোটের প্রার্থী সাদ কিছুটা বেকায়দায় পড়তে পারেন।
এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাদের ভূমিকা কী হয় তার উপরও নির্ভর করছে প্রার্থীদের ভাগ্য। জাতীয় পার্টি ও বিএনপির দুই প্রার্থী থাকেন রাজধানী ঢাকায়। রংপুরের লোকজন কাজের সুবিধার্থে স্থানীয় কাউকে সংসদ সদস্য হিসেবে বেছে নিতে পারে। কারণ তারা মনে করে, সব সময় কাছে পাওয়া যাবে এমনেএকজন প্রতিনিধিই দরকার তাদের।
গত সংসদ নির্বাচনে এরশাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এই আসনে ৫৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী রিটা রহমান। এবারও তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তার পক্ষে বিএনপির একটি অংশকে মাঠে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতসহ বিএনপি এক হলে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তবে আরো কয়েক দিন গেলে নির্বাচনের হালচাল অনুমান করা যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে শেষ লড়াইয়ে জয় হবে কার তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: