নদীগুলোতে পানি বিপদসীমার ওপরে, হাজারো পরিবার পানিবন্দি
প্রকাশিত:
৩ অক্টোবর ২০১৯ ২১:০০
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৪

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ভারত ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পানিও রয়েছে এর সঙ্গে। ফলে দেশের নদ-নদীর চারটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার তীরবর্তী জেলা শহরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে ১৩ হাজার পরিবার। এছাড়া প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল মাসকলাই, শাকসবজি, হলুদ, কলা, কুল ও পেয়ারা বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নদীর পানি বেড়ে যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তার মূল কারণ অতিবর্ষণ; ফারাক্কা বাঁধ নয়।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গত ১২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে মহানন্দা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজবাড়ী
ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় হু হু করছে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। এতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ১৩ ও পাংশার সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলি জমি। বন্ধ হয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পানিবন্দি পরিবারগুলো চলাফেরা ও গবাদিপশুর খাবার নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। নৌকা এখন তাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১ ও সেনগ্রাম পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: