অবশেষে যুবলীগ নেতা ক্যাসিনো সম্রাট গ্রেফতার
প্রকাশিত:
৬ অক্টোবর ২০১৯ ২২:১৭
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৪

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রাজধানীর ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর তিন সপ্তাহ পর আটক হলেন তারা।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা এবং র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো ছিল। এর মধ্যে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন। সম্রাট নিজে ক্যাসিনো দেখাশোনা না করলেও তার ক্যাসিনো চালাতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের বড় একটি অংশই মূলত চলে দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ছত্রছায়ায়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তার অধীন ক্যাসিনোর সংখ্যা ১৫টিরও বেশি। আর এসব ক্যাসিনো থেকে প্রতিরাতে তার পকেটে ঢোকে ৪০ লাখ টাকারও বেশি!এরই মধ্যে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তলব করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর তার বিদেশ গমনে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্রাটের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, ‘সময় হলে সব দেখতে পাবেন।’
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের হাতে সম্রাট আটক হন। র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, সম্রাটকে আটকের পর র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: