শিবির সন্দেহে বুয়েট শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা
প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৪
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৮

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামের একজন শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাকে কেউ পিটিয়ে হত্যা করেছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) দিনগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ঐই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিবির সন্দেহে আবরারকে রবিবার রাত আটটার দিকে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারধরের সময় ওই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু। তিনি বলেন, আবরারকে শিবির সন্দেহে রাত আটটার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেসবুকে বিতর্কিত কিছু পেইজে তার লাইক দেয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। এক পর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এরপর হয়তো তাকে মারধর করে থাকতে পারে। পরে রাত তিনটার দিকে শুনি আবরার মারা গেছে।
শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট মো. জাফর ইকবাল খান বলেন, ‘রাত আনুমানিক তিনটার দিকে খবর পাই এক শিক্ষার্থী হলের সিঁড়িতে পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি ফাহাদের নিথর দেহ। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে বুয়েটের চিকিৎসক দিয়ে তাকে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, ফাহাদ বেঁচে নেই। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে ফাহাদের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: