বুয়েটে নিহত আবরারের ছোট ভাইকে পুলিশের মারধর
প্রকাশিত:
১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:১৫
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৩১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আবরার ফায়াজের অভিযোগ, বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এ সময় ভিসির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে (ফায়াজ) ও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী তমাকে পুলিশ মারধর করে।
বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবরারের বাড়িতে ঢোকার সময় উপাচার্যকে বাধা দেয় গ্রামবাসী। আবরারের বাড়ি ঢোকার মুখে ভিসির গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন নারীরা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজসহ পাঁচজন আহত হন।
রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে আবরারের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ভিসির। এ খবরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশপাশ এলাকায় অসংখ্য র্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিসির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আবরার ফায়াজ ও তমাকে পুলিশ মারধর করে। তারা আবরার ফায়াজ ও তমার ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি করেন।
একই অভিযোগ করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ভিসি এসে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত না গিয়েই ফিরে গেছেন। বিক্ষোভের মধ্যে আমার ছোট ছেলে ফায়াজ ও তমার ওপর পুলিশ হামলা করে।’
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘আপনারা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেন। আমি বলতে পারি, পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মিথ্যা। আবরার ফাহাদের পরিবারের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক পুলিশ। সেখানে এ ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: