গাইবান্ধায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৩১
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৭

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিরা হলেন মো. রঞ্জু মিয়া, রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২) ও মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮)
বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আমীর হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।
মামলাটি রায়ের জন্য গতকাল ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় আসে। পরে ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে রয়েছেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল, তাপস ক্রান্তি বল ও সাবিনা ইয়াসমীন খান মুন্নী। কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রনজু মিয়া এবং পলাতক চার আসামির পক্ষে রয়েছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান।
প্রসিকিউশন জানায়, একাত্তরের ১৮ অক্টোবর পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়ে গাইবান্ধার সদর এলাকার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, দৌলতপুর, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্পনগরী, ভবানীপুর ও চকগয়েশপুর গ্রামের ২১ জনকে হত্যা, শতাধিক বাড়ি-ঘর লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ এবং কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালানো হয়। মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ সাত নিরস্ত্র মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আসামিরা সাহাপাড়া ইউনিয়নের তিন থেকে চারশ হিন্দু লোককে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিচারে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়।
আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেও তাদের কোনও বিচার হয়নি।
খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: