বাবার কোলেই ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় ঘুমন্ত তুহিনকে
প্রকাশিত:
১৬ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:০৯
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৪

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন বাবা। আর বাবার কোলেই ঘুমন্ত অবস্থায় শিশু তুহিনকে ছুরি দিয়ে গলাকেটে খুন করেন চাচা নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৫ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। বাবা ও চাচার সম্মিলিত পরিকল্পনাতেই খুন করা হয় তুহিনকে। শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তার বাবা ও চাচা।
ফুটন্ত ফুলের মতো এই শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার পেছনের কারণও উদঘাটন করেছে তদন্তকারী পুলিশরা।
এর ব্যাখ্যা দিয়ে এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, মূলত নিজেকে বাঁচাতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু তুহিনকে হত্যা করেছেন বাবা আব্দুল বাছির। তুহিনকে হত্যায় বাবার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। ঘটনার দিন শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবা আব্দুল বাছির ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান। এরপর তুহিনের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাই মিলে হত্যা করেন। এরপর তুহিনের পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে দেন।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘুমন্ত শিশুটিকে হত্যার সময় সে বাবার কোলেই ছিল। তুহিনের বাবা আবদুল বাছির ও চাচা নাসির উদ্দিন শিশুটিকে প্রথম ছুরি দিয়ে আঘাত করে। জবাইয়ের পর সবাই মিলে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। কান কাটে, গোপনাঙ্গ কাটে। রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। শিশুটির চাচি ও চাচাতো বোন আপাতদৃষ্টিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে মনে হয়নি। বাছির, নাসির, জুলহাস, মোছাব্বির, শাহরিয়ার সরাসরি জড়িত ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয়েছে। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। দুটি নাম লেখা ছুরি শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল এগুলো ফরনেসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্টও পরীক্ষা করা হবে।’
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: