কাউন্সিলর একরামুল হক মাদক ব্যবসার মতো ঘৃণিত পেশার সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলেন না


প্রকাশিত:
১ জুন ২০১৮ ১৪:১১

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৪

কাউন্সিলর একরামুল হক মাদক ব্যবসার মতো ঘৃণিত পেশার সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলেন না

কাউন্সিলর একরামুল হক মাদক ব্যবসার মতো ঘৃণিত পেশার সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলেন না। বরং ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।বৃহস্পতিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম এই দাবি করেন।

তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নয় বরং বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাউন্সিলর একরামকে হত্যা করা হয়েছে।

আয়েশা বলেন, গত ২৬ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফে দায়িত্বরত সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জমি কেনার কথা বলে একরামকে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু রাত ১১টার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্বামীর মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন দেই। প্রতিবারই আমাদের সঙ্গে কেঁদে কেঁদে কথা বলেছেন আমার স্বামী।



কাঁদতে কাঁদতে আয়েশা বলেন, সবশেষ রাত ১১টা ৩২ মিনিটে তিনি ফোন রিসিভ করলেও কথা বলেননি। ওই সময় মোবাইলের অপর প্রান্তের সব কথা আমরা শুনতে পাই। আমরা শুনছিলাম কত নির্মম পরিস্থিতি তিনি পার করেছেন। কি নির্দয়ভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমার স্বামীর আর্তনাদ এখনো আমার কানে বাজছে।

আয়েশা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মাদক নির্মুল অভিযানকে সমর্থন করি। কিন্তু এ অভিযানে যেন আমার স্বামীর মতো নিরাপরাধ কেউ নির্মম হত্যার শিকার না হয়। কোনো নারী যেন অকালে স্বামীহারা না হয়। কোনো সন্তান যেন পিতৃহারা না হয়। এসব প্রমাণাদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো। তার কর্মী কখনোই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এটা মরণের পর হলেও প্রমাণ করতে চাই আমরা।

আয়েশা বলেন, আমার স্বামীর নাম একরামুল হক। তার পিতার নাম আব্দুস সত্তার। টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু র‌্যাবের পাঠানো বিবৃতিতে যার কথা বলা হয়েছে তিনি একরামুল হক, পিতা মোজাহের মিয়া । সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া তার ঠিকানা। নাম ও ঠিকানা ভুল করে উদ্দেশ্যমূলক ও রহস্যজনকভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে স্বামী হত্যার বিচার চাই আমি।সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নিহত একরামের ভাই নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আব্দুরাজ্জাক এবং দুই শিশু কন্যা নাহিয়ান হক (১১) ও তাহিয়া হক (১৩)।

গত ২৬ মে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর একরাম নিহত হন। এ সময় ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড গুলি, ৫ রাউন্ড গুলির খোসা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র‌্যাব।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top