ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ১৬ জন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা
প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩৩
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে স্টেশন মাস্টার জাকের হোসেন বাদী হয়ে জিআরপি থানায় এ মামলা করেন।
আখাউড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাশ সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে নির্ধারিত ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আজ দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে চালককে দায়ী করা হচ্ছে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, তূর্ণা নিশীথা রাত ২টা ৪৮ মিনিটে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাত্রা করে। ট্রেনটিকে আউটারে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। আর উদয়ন এক্সপ্রেস কসবা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করার পথে ট্রেনটিকে প্রধান লাইন ছেড়ে ১ নম্বর লাইনে আসার সংকেত দেওয়া হয়। রাত ২টা ৫৫ মিনিটে উদয়ন স্টেশনে ঢোকে। ট্রেনটির ছয়টি বগি প্রধান লাইনে থাকতেই তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ট্রেনটির মাঝামাঝি ঢুকে পড়ে। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটির চালক তাহের উদ্দিন ইঞ্জিন চালু রেখে পালিয়ে যান।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: