ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিচার দাবি করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত:
১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪৬

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিচার দাবি করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেনকে ছাত্রলীগকর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।  এ সময় তারা তিন দফা দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ রাখবেন বলে ঘোষণা দেন।



তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে সোহরাব মিয়াকে হত্যা চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, হল প্রশাসন নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ, গুরুতর আহত শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়ার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।



ভুক্তভোগী সোহরাব হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। সোহরাবের মাথা হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আসিফ লাক হুমায়ুন কবির নাহিদ। তারা দুইজনই রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।



শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের মারমুখী আচরণ যেন বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের এর আগেও ছাত্রলীগ মারধর করেছে। কিন্তু এসব ঘটনার কোনো বিচার আমরা পাইনি। ছাত্রলীগও এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিচারের নামে বহিষ্কারের নাটক করে ছাত্রলীগ। কাউকে বহিষ্কার করলেও কিছুদিন পর আবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নিশ্চুপ। তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও বরাবরের মতো 'দেখছি' 'দেখছি' বলেই দায় এড়িয়েছেন তারা।



উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫.১১.১৯) মধ্যরাতে সোহরাব হোসেনকে শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ল্যাপটপ চুরির ধুয়া তুলে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগকর্মী আসিফ নাহিদ। মারধরে সোহরাবের মাথা ফেটে যায় বাম হাত ভেঙে যায়। সে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top