চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ: গ্যাসলাইন থেকে নয়, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে


প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০৫

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৭

চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ: গ্যাসলাইন থেকে নয়, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: চট্টগ্রামের পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবনে রোববারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ এখনও রহস্যাবৃত। বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। আর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) দাবি করছে, গ্যাসলাইনে কোনো লিকেজ পাওয়া যায়নি। রাইজারও অক্ষত রয়েছে। তাই গ্যাস লাইন বিষ্ফোরণে এ দূর্ঘটনা হয়নি।



রোববার নগরীর পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে ভয়াবহ বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টে কথা বলেছে। রোববার দুপুরে এই কমিটি গঠন করা হয় এবং অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিকালেই কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করে। এসময় কমিটি নাশকতার জন্য ওই ভবনে বিস্ফোরক কিংবা কোনো দাহ্য পদার্থ মজুদ রাখা হয়েছিল কিনা, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি করেছে।



কমিটির প্রধান সরোয়ার হোসেন বলেন, রোববার দুর্ঘটনার পর দুপুর বিকালে দুই দফায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। আমরা গ্যাসের লাইনে কোনো লিকেজ পাইনি। গ্যাসের লাইন এবং রাইজার অক্ষত পাওয়া গেছে। রান্নাঘরের পাশে আরেকটি কক্ষে বিস্ফোরণ হয়েছে, যার নিচে সেপটিক ট্যাংক আছে। এতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, গ্যাসের লাইন থেকে বিস্ফোরণ হয়নি। বিস্ফোরণটি সেখানেই হয়েছে।



অন্যদিকে রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিস্ফোরক অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।



তিনি বলেছেন, গ্যাস লিকেজের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ধারণা নয়, বিষয়ে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত। পাইপলাইনের কোনো জায়গায় ফুটো দিয়ে গ্যাস বের হয়েছে। প্রবাহিত গ্যাস ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ডেও প্রবেশ করতে পারে। যেখানে স্পার্কিংয়ের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। আমরা জানতে পেরেছি আহত একজন ঘরে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়েছেন। এতে আগুনের উৎস পেয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।



গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ হলে আগুন লেগে যেত বলে কর্ণফুলী গ্যাস কর্মকর্তার বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, গ্যাসের সঙ্গে আগুনের স্পর্শ হলে আগুনের ঝলক হয়। এতে আগুন লাগার সুযোগ নেই। কারণ গ্যাসের তীব্রতা দ্রুত শেষ হয়ে যায়।



চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সিএমপি গঠিত দুটি কমিটি সোমবার পৃথকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আহতদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।



চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অর্পিতা নাথকে রোববার রাতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত অন্য চারজন রয়েছেন আইসিইউতে। এরা হলেন মো. নাজির (৬৫), ডওরিন তিশা গোমেজ (২২), আবদুল হামিদ (৪০) আবদুর রহমান। ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে আছেন সন্ধ্যা রানী নাথ, ইসমাইল, ইউসুফ আবু তালেব।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top