র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অপরাধে ৯ ছাত্রকে বুয়েটের হল থেকে আজীবন বহিষ্কার
প্রকাশিত:
৩০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৫৮
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলের ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে প্রশাসন। এদের মধ্যে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলের ৯ ছাত্রকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার ও ৪ থেকে ৭ টার্ম পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে ও ৪ শিক্ষার্থীকে করা হয়েছে সতর্ক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বুয়েটের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক এবং বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান।
বিভিন্ন মেয়াদে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এবং হল থেকে আজীবন বহিষ্কার হওয়া নয় শিক্ষার্থী হলেন– সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসেন, মো. মোবাশ্বের হোসেন শান্ত, এএসএম মাহাদী হাসান, আকিব হাসান রাফিন৷
এর আগে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটের শিক্ষার্থীরা র্যাগিং বন্ধে আন্দোলন করে আসছিলো।
র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার।
২. বুয়েটের আহসান উল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিষয়ে অভিযুক্তদের অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান।
৩. সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি ও নির্যাতনের বিষয়ে শাস্তির আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তাঁরা হাতে পেয়েছেন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই দুই হলে র্যাগিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিতুমীর হলের র্যাগিংয়ের ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে ওই হলের র্যাগিংয়ের ঘটনায়ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: