কক্সবাজার সৈকতে অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস করতে হাইকোর্টের রুল জারী
প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৪
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৯

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস ও অপসারণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন। মন্ত্রী পরিষদ, পরিবেশ, বিমান ও পর্যটন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, জন প্রশাসন ও পানি সম্পদ সচিবসহ ২২জনকে তিন মাসের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এছাড়া ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির টাস্কফোর্সের সভায় কক্সবাজারের সংরক্ষিত এলাকায় ১০ তলা সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন স্বেচ্ছাচারী ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র ও স্যুয়ারেজ প্লান্ট ছাড়া কক্সবাজার পৌর এলাকায় হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ মার্কেট ও বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ এবং কক্সবাজার পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রুলে কক্সবাজার জেলার ৭টি উপজেলার(কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু, চকোরিয়া, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলা) উন্নয়ন বহির্ভূত ও সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চল রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দখল ও নির্মাণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দূষণ, পৌর বর্জ্য ও যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নিয়ে দেশের বেশকিছু দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতি।
বিষয়: হাইকোর্ট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: