ঢাকার সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দরকার নেই
প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৩৪
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৩১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী দেওয়ার কোনো দরকার নেই। সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি মাঠে থাকবে। এ ধরনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের যথেষ্ট যোগ্যতা ও সক্ষমতা রয়েছে। শনিবার দুপুরে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
নূরুল হুদা বলেন, ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করার জন্য আমরা ঢাকার আসন্ন দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে যাচ্ছি। যাতে করে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। আসন্ন এই নির্বাচন প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দীতামূলক হবে বলে আশা করছি। আশা করি, সব দল প্রার্থী দেবে।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ইভিএমের মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব। বিশ্বের সব দেশ থেকে ইভিএম উঠে গেছে, তা নয়। যদি জার্মানির তুলনা ধরা হয়, তাহলে তাদের প্রযুক্তি ও যে অগ্রগতি, তার সঙ্গে আমাদের মাঠপর্যায়ে ব্যবধান রয়েছে। ভোটের মাঠে ওই সব দেশের যে প্রেক্ষাপট, তার সঙ্গে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের তুলনা করা চলে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করব। আমাদের ব্যবস্থাপনার মধ্যে কখনই ত্রুটি ছিল না, এখনই থাকবে না। ভোটারদের প্রতি আহ্বান থাকবে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য। আমরা ভোটারদের আহ্বান করব। পাশাপাশি প্রার্থীদেরও কর্তব্য ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে ভোটার সংখ্যা বাড়বে। যেমনটা ভোলার লালমোহন পৌরসভায় ৭১ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন ইভিএমের মাধ্যমে। কারণ এখানে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক ছিল।
এর আগে সিইসি ব্যক্তিগত সফরে ২৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর বাউফলে যান। শনিবার ঢাকায় ফেরার পথে বরিশালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নানা দিক-নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: