সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে, শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৪১
আপডেট:
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৫০

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশের সর্ব উত্তরের জেলায় দিনদিন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে পঞ্চগড় জেলায়। গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরের হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়ছে এলাকার সর্ব সাধারণের জনজীবন। টানা ৫-৬ দিন পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে বিরাজ করছে এ জেলা।
রোববার জেলার সর্বোত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর তাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে এ উপজেলায়। তেঁতুলিয়া উপজেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম সময়ের আলোকে জানান, সোমবার ভোর ৬টায় এ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৪ দশমিক ১ ডিগ্রি।
হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধ ও কোমলমতি শিশুরা। প্রতিদিন বাড়ছে শিশু রোগ, ডায়রিয়া, সর্দি, কাশ, জ¦র ও বযস্ক বৃদ্ধদের হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগ। শীতের কারণে ঘরের বাইরে চলাফেরা করতে দেখা যায় না সাধারণ মানুষের। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙ্গিনায় আগুন তাপ গ্রহণ করে তীব্র শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে এলাকার সাধারণ হতদরিদ্র মানুষ। দৈনন্দিন যারা দিন আনে দিন খায় শ্রমজীবী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবারে জীবিকা নির্বাহে ব্যাঘাত ঘটছে। শীতবস্ত্র ও গরম কাপড় না থাকায় তীব্র শীতের কারণে রাতে ঘুমাতে পারছে না এবং ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে ভীষণ দুর্ভোগে পড়ছেন।
এদিকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানের সঙ্গে ভারী যানবাহনগুলো চলাচল করছে। জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে গরম কাপড় ও শীতবস্ত্র বেচাকেনায় হিড়িক পড়েছে। এ ছাড়া হাড় কাঁপানো শীতের কারণে লেপ, তোষক, বালিশ বানানো দোকানের শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অতিরিক্ত শীতের কারণে নবজাতক শিশুদের শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মনোয়ারুল ইসলাম জানান, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে প্রায় অর্ধশত শিশু চিকিৎসা নিয়েছে এবং ভর্তি অবস্থায় আছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্র আবেদনের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: