চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার রায়ে পাঁচ পুলিশের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত:
২২ জানুয়ারী ২০২০ ০২:২১
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫০

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার রায়ে ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ৩২ বছর পর সোমবার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মো. ইসমাইল হোসেন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় নির্বিচারে গুলি বর্ষণে ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, জেসি মণ্ডল, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মো. আবদুল্লাহ, মমতাজ উদ্দীন ও মোস্তফিজুর রহমান।
এদের মধ্যে জেসি মণ্ডল ঘটনার সময় ছিলেন কোতোয়ালি থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর। তিনি পলাতক রয়েছেন। অন্য ৪ জন সবাই ছিলেন তখন পুলিশ কনস্টেবল। রায ঘোষণার সময় এরা কাটগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী জানান, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা লালদীঘি ময়দানে ১৫ দলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তিনি এবং জোট নেতৃবৃন্দ একটি খোলা ট্রাকে করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ময়দানের দিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পৌঁছলে বিনা উসকানিতে পুলিশ বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাক লক্ষ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাখির মতো ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে আইনজীবী সমিতির সদস্যরা সরিয়ে তাদের সমিতি অফিসে নিয়ে গেলে তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদাকে প্রধান আসামি করে ১৯৯২ সালে হত্যা মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট শহীদুল হুদা। বাদী মারা গেছেন অনেক আগে। প্রধান আসামি মির্জা রকিবুল হুদাও মারা যাওয়ায় তাকে বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পিআই জেসি মণ্ডল ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া মূল আসামি। ১৯৯২ সালে মামলা দায়েরের পরপরই তিনি পালিয়ে বিদেশ চলে যান।
এ মামলায় বেশ কয়েকবার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ মোট ৫৩ জন এই মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন।
বিষয়: চট্টগ্রাম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: