সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে বায়োমেট্রিকের আওতায় আনা হচ্ছে
প্রকাশিত:
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৪৮
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ২১:২২

ফাইল ছবি
প্রভাত ফেরী: সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বায়োমেট্রিক হাজিরা প্রক্রিয়া স্থাপন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষ পালনের বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশে প্রথমে গোপালগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাড়ে চার হাজার শিক্ষকের পাশাপাশি এক লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী বায়োমেট্রিক হাজিরার আওতায় আনা হবে। এরপর ধীরে ধীরে সারা দেশের প্রথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বায়োমেট্রিক হাজিরা বাস্তবায়ন হলে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হাজিরা বাড়বে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ হবে, উপ-বৃত্তি প্রদানে অনিয়ম বন্ধ হবে, শিক্ষকরাও সঠিক সময়ে স্কুলে যাবেন। এছাড়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ারও একটা প্রবণতা তৈরি হবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের মধ্য দিয়েই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার পর্যায় থেকেই সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছি আমরা। প্রত্যেকটি প্রাইমারি স্কুলে শিশুদের জন্য আনন্দঘন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। আর এটিই হবে গোপালগঞ্জ থেকে মুজিববর্ষের বিশেষ উপহার।’
শাহিদা সুলতানা আরও বলেন, ‘এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাজিরা দেওয়া চালু হলে জেলার যে কোনও প্রাইমারি স্কুল চলাকালীন সময়ে ডিসি অফিসে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে বা সচিবালয়ে বসেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনিটরিং করতে পারবেন। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্কুলে বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। মুজিববর্ষের মধ্যেই আমরা এই পদ্ধতি চালু করতে চাই। এই পদ্ধতিতে জেলার সব প্রাথমিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাজিরা প্রদান কার্যক্রমকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়েই আমরা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে চাই। গোপালগঞ্জে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু হলে এটি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে মডেল হিসেবে কাজ করবে।’
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশের আর কোনও জেলায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হয়নি। গোপালগঞ্জেই আমরাই প্রথম একযোগে জেলার ৮৬২টি প্রাইমারি স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালুর কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ১০০টিরও বেশি স্কুলে বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপন করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ফিঙ্গার প্রিন্ট, ছবি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
বিষয়: বায়োমেট্রিক প্রাইমারী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: