জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের নতুন বছর শুরু গৃহবন্দি হয়ে
প্রকাশিত:
৩ জানুয়ারী ২০২২ ০০:০৫
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৫:০০

প্রভাত ফেরী: জম্মু-কাশ্মীরের নতুন বছরের প্রথম দিনেই তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। নেতাদের বাড়ির সামনে পুলিশের ট্রাক রাখা হয়েছে। শিকল লাগানো হয়েছে সদরে।
বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসে গতকাল শনিবার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি বানচালে তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করা হয়।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ জোটের এই কর্মসূচির কথা জানিয়ে বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তারা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’–এর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন। রাজ্য দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পর এই কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার সীমানা পুনর্গঠনের কাজে হাত দেয়।
গত ডিসেম্বরে কমিশন সুপারিশ করে, নতুন এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার মোট আসন বাড়িয়ে করা হবে ৯০। এর মধ্যে জম্মু অঞ্চলে বাড়বে ৬টি আসন। ৩৭ থেকে বেড়ে এই অঞ্চলের মোট আসন হবে ৪৩। কাশ্মীর অঞ্চলে একটি আসন বেড়ে হবে ৪৭। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে আসনসংখ্যার ব্যবধান ৯ থেকে কমে ৪-এ দাঁড়াবে।
শনিবার গৃহবন্দী নিয়ে টুইট করেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে তিনি লেখেন, নতুন বছর শুরু হলেও কিছু কিছু জিনিস বদলায় না। জম্মু-কাশ্মীরে বেআইনিভাবে মানুষজনকে গৃহবন্দী করে রাখছে। সাধারণ স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও প্রশাসন ভয় পাচ্ছে। আমাদের বাড়ির ফটকের সামনে পুলিশ তাদের ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখেছে, যাতে জোটের নেতারা শান্তিপূর্ণ ধরনায় বসতে না পারেন। টুইটের সঙ্গে ট্রাকের ছবিও জুড়ে দিয়েছেন।
ওমর আবদুল্লাহ টুইটে লিখেছেন, তবু দেশের নেতারা গলা উঁচিয়ে বিশ্বকে শোনান যে ভারত বৃহত্তম গণতন্ত্র! বিস্ময়! টুইট করেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তিনি লেখেন, সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ও রাজ্য দ্বিখণ্ডিকরণের ঢাক অহরহ পিটিয়ে চলেছে। অথচ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতার প্রশ্নে অসহিষ্ণু। অসংখ্যবার আমাদের গৃহবন্দী করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাতে দিচ্ছে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: