প্রেম ভাঙতে আয়নাঘরে পাঠানো হয়েছিল সোহেল তাজের ভাগ্নেকে
প্রকাশিত:
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:১৮
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ২৩:৫২

প্রেমের সম্পর্ককে ভাঙতে গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে আয়নাঘরে রাখার অভিযোগ তুলেছেন সোহেল তাজের ভাগ্নে ইফতেখার আলম সৌরভ। সৌরভের দাবি, ২০১৯ সালে দুই ধাপে মোট ১২ দিন আয়নাঘরে ছিলেন তিনি। তার প্রেমিকার বাবা সালেহ আজাদ চৌধুরী মূলত শেখ পরিবারের এক সদস্যের সহযোগিতায় কাজটি করেন।
ভুক্তভোগী যুবক জানান, ২০১৯ সালে গুলশানে এক বন্ধুর বাসায় থাকতেন তিনি। সে বছরের মে মাসের এক রাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বাসা ঘিরে ফেলে একদল লোক। গোয়েন্দা পরিচয়ে চালানো হয় তল্লাশিও। এক পর্যায়ে তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। এরপর একদিন আটক রেখে প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
ইফতেখার আলম সৌরভের অভিযোগ, এখানেই শেষ নয়- পরের মাসে চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেট থেকে আবারও তুলে নেওয়া হয় সৌরভকে। তখন আটক করে রাখা হয় দীর্ঘ ১১ দিন।
এ বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ) বলেন, সৌরভের খোঁজ জানত না পরিবার। সরকারের সর্বোচ্চ মহলে যোগাযোগের পরও কাজ হয়নি। পরে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করার পরদিন ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
সৌরভের দাবি- ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত নানা হুমকি আর নজরদারির মধ্যে ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সালেহ আজাদ চৌধুরীর বাসায় গিয়ে জানা যায়, তিনি অনেক আগেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: