ভারতীয় পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়ল দ্বিগুণ
প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০২
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৭

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা 'ন্যাপেড' গত শুক্রবার থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে ৮৫২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় তার প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। বন্দরে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। আর পাইকারি বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজের দাম ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় দেশের খোলাবাজারে পেঁয়াজের দাম তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে প্রায় দশ টাকা। ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ সঙ্কট থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করতেই পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তবে বাংলদেশী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পেঁয়াজ মৌওসুমে প্রতিবারেই ভারত এ কাজ করে থাকে। শুধু পেঁয়াজ না প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যে এ কাজটি করে ভারত।
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মা স্বরশতি এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বাপ্পা মজুমদার জানান, বন্যার কারণে গত এক মাসের ব্যবধানে ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় পেঁয়াজ রফতানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারতের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লী থেকে পেট্রাপোল কাস্টমসে পাঠানো ফ্যাক্স বার্তায় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা ছিল, 'এখন থেকে পেঁয়াজের কোনো চালান দেশের বাইরে রফতানি করতে হলে বর্তমানে নির্ধারণ করা ৮৫৫ মার্কিন ডলারে কার্যকর
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৮৫৫ ডলার মূল্যে রোববার ১২২ মে.টন পেঁয়াজ আমদানি করি। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করতেই কৌশল হিসাবে রফতানি মূল্য দ্বিগুণ করেছে। এমন চলতে থাকলে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকবে। তবে সে দেশের সরকার যদি তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তবে বাজার মূল্য আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে এক হাজার ১১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির পর পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কমে গেছে। তবে বাংলাদেশী অনেক আমদানিকারকের এলসি ভারতের রপ্তানীকারকদের কাছে পড়ে আছে। অনেকে বাড়তি মূল্য এ্যমানমেন্ড করে পেঁয়াজ আমদানি করছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের একজন কর্মকর্তা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অনেক কম। বাজার সহনশীল রাখতে ও পেঁয়াজের আমদানি গতিশীল করতে কাস্টম হাউজ ২৪ ঘন্টা খোলা আছে। যেহেতু পেঁয়াজের কোন শুল্ক নেই সে কারণে আমদানিকারকরা যে মূল্য ঘোষনা দিচ্ছে আমরা সে মূল্যে শুল্কায়ন করে দিচ্ছি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: