রোহিঙ্গাদের সকল তথ্য আছে, এনআইডি পাওয়া সম্ভব না: এনআইডি ডিজি
প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০০
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫২

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ১১ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক আমাদের কাছে আছে। আমার রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত করেছি। এখন যাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তাদের আঙুলের ছাপ ও তথ্য প্রথমেই রোহিঙ্গা সার্ভারে ম্যাচ করে দেখা হচ্ছে। কারো তথ্য এ সার্ভারে ম্যাচ করলে মূল সার্ভারে আর যাওয়াই হবে না। এছাড়া খসড়া প্রকাশের আগে আমরা ম্যাচিং করবো। তাই এখন কেউ চাইলেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার বা এনআইডি পাওয়ার যে তথ্য এসেছে, তারা চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভোটার হতে পারেনি বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো বিদেশি বা রোহিঙ্গা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে, এজন্য আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সিকিউরিটি ফিচার পরিবর্তন করেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ কমিটিও যাতে সুচারুভাবে কাজ করে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকার জন্য বদ্ধপরিকর।
এনআইডি ডিজি বলেন, লাকী বেগম নামের একজন স্মার্টকার্ড আনতে গেলে, মূল সার্ভার থেকে ধরা পড়ে তার এনআইডি সঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদে চিহ্নিত হয়েছে- তাকে বৈধ এনআইডি দেয়া হয়নি। তাই তাকে পুলিশে দেয়া হয়। তারপর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। তাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়েছে কিনা এসব দেখি। এতে ৪৬ জন ব্যক্তির ডাটা অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ঠিক মতো নেই, কারো ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি। এটা আমরাই চিহ্নিত করেছি।
অসম্পূর্ন এনআইডি তারা কিভাবে পেল এমন প্রশ্নের জবাবে এনআইডি ডিজি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এই অপচেষ্টার সঙ্গে আমরা কক্সবাজারে দু’জন দালালের সম্পৃক্ততা পাই। তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া আমাদের একজন পিয়ন এর সঙ্গে জড়িত তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া এখন থেকে চট্টগ্রামের ৩২টি এলকাকে আমরা বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ ফরম পূরণ করা হয় এবং সার্ভারে তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশেষ কমিটির সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে। উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে এসব বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: