ছাত্রদলের নতুন কমিটি, সভাপতি খোকন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল
প্রকাশিত:
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৮
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৯

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: প্রায় ২৮ বছর পর সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব। সংগঠনের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান খোকন। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল হোসেন শ্যামল।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ভোট গণনা শেষে এই ফল ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার শাহজাহানপুরের বাড়িতেই রাতভর ভোটগ্রহণ ও গণনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোট ৫৬৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫৩৩ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪৮১ জনের প্রদত্ত ভোটের ভিত্তিতে সংগঠনটির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, নবনির্বাচিত সভাপতি খোকনের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ২০১০ সালে মাস্টার্স শেষ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক শ্যামলের বাড়ি নরসিংদীতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সায়েন্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সভাপতি পদে খোকন পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। নবনির্বাচিত সভাপতি খোকন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে ভোটাধিকার নেই। যখনই গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে তখনই খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং মানুষের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা।
সাধারণ সম্পাদক পদে শ্যামল পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দবী জাকির হোসেন পেয়েছেন ৭৮ ভোট। ছাত্রদলের নতুন এই সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র মানেই খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া আমাদের মা। তার মুক্তির মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। ডাকসু নিবার্চনে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে কাজ করব।
ছাত্রদলের নির্বাচিতদের ধৈর্য ধরে ও হঠকারিতা না করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্বাচিতদের নিয়ে স্লোগান না দেওয়ার কথাও জোর দিয়ে বলা হয়। এছাড়া কারও উসকানিতে পা না দিয়ে অত্যন্ত সতর্কভাবে সামনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ইলিয়াস আলী ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি মাত্র তিন মাসের মাথায় ভেঙে দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে বিএনপির মনোনীত নেতাদের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হয়ে আসছিল। প্রায় ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারে কাউন্সিলে সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ জন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: