পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তির সাথে জড়িত সবাই শাস্তি পাওয়ার যোগ্য
প্রকাশিত:
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৮
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫০

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সান্ধ্যকালীন কোর্সে ৩৪ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির সঙ্গে জড়িত সবাই নৈতিক স্খলনের অপরাধে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সাদা দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। ৩৪ জন শিক্ষার্থীর অবৈধ ভর্তি বাতিল ও দায়ীদের শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাদা দলের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এই ভর্তিকে ‘গর্হিত অপরাধ’ উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের একটি বড় নজির হলো ভর্তি প্রক্রিয়ার সব নিয়ম ও বিধি-বিধান উপেক্ষা করে মাস্টার অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও গর্হিত অপরাধ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন প্রোগ্রামের তদানীন্তন পরিচালক যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। অবৈধ ও অন্যায় একটি কাজকে নিয়মসিদ্ধ বলে তাঁদের দেওয়া ব্যাখ্যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির ইচ্ছায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও ঐতিহ্যকে ভুলুণ্ঠিত হতে দেওয়া যেতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব-মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে অবিলম্বে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া ৩৪ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল এবং এর সঙ্গে জড়িত দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত যে কোনো কোর্সের কারিকুলাম, ব্যবস্থাপনা ও ভর্তি-প্রক্রিয়ার শর্তাবলি নির্ধারণে চূড়ান্ত অনুমোদনের কর্তৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের। এ ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন-পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে সুপারিশ আকারে প্রস্তাব আসতে পারে। সেই সুপারিশ অনুষদ সভা, ডিনস কমিটি ও বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ হয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিল সভায় উপস্থাপিত হয়। কাউন্সিল অনুমোদন দিলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা বিধিবদ্ধ হয়। কিন্তু ৩৪ জনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম অনুসরণ না করায় এদের ছাত্রত্ব অবৈধ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: