ইসির ১৫ কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের নামে এনআইডি তৈরিতে জড়িত


প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৭

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৮

ইসির ১৫ কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের নামে এনআইডি তৈরিতে জড়িত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নামে এনআইডি তৈরিতে ইসির ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে তাদের নামধাম গোপন রাখা হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই বিভিন্ন অপরাধের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সঙ্গে জড়িতের কেউ ছাড় পাবেন না বলে এসময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।



সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় সম্পৃক্ত করার কাজে ইসির কতজন জড়িত? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।



জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করার ঘটনা তুলে ধরে এনআইডির ডিজি বলেন, ‘আমরা ফাঁদ পেতে একটি চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। সামরিক বাহিনীতে আমরা যেটা অ্যামবুশ বলি। এতে আমাদের ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের কর্মচারী জয়নালকে প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অন্যদের চিহ্নত করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা ১৫ জনের বেশি হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান হবে বলেও তিনি জানান।



ইসির এনআইডি বিভাগ অনিয়ম-দুর্নীতি কমাতে শুদ্ধি অভিযানে নেমেছে জানিয়ে ডিজি বলেন, ‘এনআইডিকে সুরক্ষিত করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার আমরা তাই করব। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের মূল ডেটাবেজ সুরক্ষিত আছে। যারা এখানে ঢোকার অপচেষ্টা করেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আইটি বিভাগ এই অপচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করেছে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। এটা বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।



সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আগামীতে কেউ যেন রোহিঙ্গাদের টেম্পরারি সার্ভারেও যুক্ত করতে না পারেন, সেজন্য সব কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিয়েছি। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সার্ভারে ঢোকার জন্য ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) মেসেজের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top