ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে জলবায়ুর অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর আহবান
প্রকাশিত:
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:০৭
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৪

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বিভিন্ন উদ্যোগে অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য সকল দেশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এতে বিশ্বে জলবায়ু নিয়ে যে ঝুঁকির মধ্যে আছে তা কিছুটা হলেও কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ সদর দফতরের কনফারেন্স কক্ষ নং ৭ এ গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি অনিঃসরণকারী দেশ এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং সামর্থের স্বল্পতা থাকার পরও বাংলাদেশ স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের অংশীদারিত্বের অঙ্গীকার এমন একটি প্লাটফর্মের সৃষ্টি করবে যেখানে উদ্ভাবনী এবং অভিযোজনমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কার্যপ্রণালী নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘে ৪ প্রস্তাব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। এদিনের ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্বনেতাদের সামনে চার প্রস্তাব তুলে ধরবেন তিনি। জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ওই চার প্রস্তাবের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে:
০১. রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপের গ্রহণের মাধ্যমে মিয়ানমারকে তার রাজনৈতিক সদিচ্ছা স্পষ্ট করতে হবে।
০২. বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বাতিল করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিয়ানমারের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের ব্যবস্থা করতে হবে।
০৩. রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে মিয়ানমারকে অবশ্যই অন্যদের মতো রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
০৪. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: বাসস।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: