দিনদিন উগ্রতা বাড়ছে রোহিঙ্গাদের, গড়ে উঠছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক
প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:১৯
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৪

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: শুরু থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরেই চলে আসছে আইনবিরোধী নানা ধরনের কাজ। কিন্তু এখন দিন যতই যাচ্ছে তত বেশি তাদের উগ্রতা বাড়ছে। স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও অনেক সময় চড়াও হচ্ছে তারা।
তাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এখন আরও বেশি শক্তিশালী। এক ক্যাম্পে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিকভাবে সে খবর চলে যাচ্ছে অন্য ক্যাম্পে। স্থানীয় কেউ তাদের কোনো অপকর্মের বিষয়ে কথা বললে সংঘবদ্ধ হয়ে চড়াও হচ্ছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় বাসিন্দা তো দূরের কথা, অনেক ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও তোয়াক্কা করছে না তারা।
জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো এবং আশপাশ এলাকার প্রায় পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন বলতে গেলে রোহিঙ্গাদের হাতেই। এসব এলাকায় তারা নিজেদের মতো করে একটি জগৎ সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করা একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কাছ থেকে শোনা গেছে একই কথা।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে কুতুপাংলয়ের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পুলিশ সদস্যকে আটকে রেখেছিল রোহিঙ্গারা। এবং পরে তারা তাকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে র্যাব সেখানে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এছাড়া একবার র্যাব সদস্যদের একইভাবে আটকে রাখে বেশ কয়েকজন উগ্র রোহিঙ্গা। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেক ঘটনাই এখন আর বাইরে প্রকাশ পাচ্ছে না। কারণ এখানে প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিদেশি কতিপয় এনজিও এসব রোহিঙ্গা বসতির সার্বিক বিষয় দেখাশুনা করছে। অনেক এনজিও আছে যারা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল, তল্লাশি বা অভিযানকে কোনভাবেই ভালোভাবে নেয় না। আর এই সুযোগে রোহিঙ্গারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর চড়াও হচ্ছে। আর তাদের এই মাত্রাতিরিক্ত বেপরোয়া অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রোহিঙ্গা বসতি এলাকায় পুলিশ নিজস্ব ক্যাম্প স্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছে
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: