ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৩৮
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৬

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর)নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা, হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোটিভ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো শিল্প খাতে বিনিয়োগের জন্য এখনই সবচেয়ে ভালো সময়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। এরমধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চল ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েকটি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হয়েছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়াগবান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরদের জন্য আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্বব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক এবং ভারতীয় ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্থান হিসেবে নজর কাড়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছে। আমরা এই উপ-অঞ্চলের জন্য একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে পারি। আমাদের নিজস্ব ১৬২ মিলিয়ন জনসংখ্যার বাইরেও বাংলাদেশ প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষের একটি ভূখণ্ডের সম্মিলিত বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে।
৪০টি দেশের ৮০০ প্রতিনিধি দুইদিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। শুক্রবার সম্মেলনটি শেষ হবে। সমাপনী অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দেবেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যুব উন্নয়ন, বন্দর ব্যবহার, যোগাযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, পানি, সমুদ্র অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও জ্বালানি গুরুত্ব পাবে বলে জানা যাচ্ছে। বাসস।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: