সম্পদ রক্ষায় সম্রাটের স্ত্রীর অতি উৎসাহী রহস্যময় বক্তব্য


প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৪৫

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৯

সম্পদ রক্ষায় সম্রাটের স্ত্রীর অতি উৎসাহী রহস্যময় বক্তব্য

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী দাবি করেছে, সম্রাট তার ক্যাসিনো খেলার টাকা দিয়ে দল পালতো। বিভিন্ন নেতাকর্মীর পেছনে সেই টাকা ব্যয় করতো। তার নামে কোথাও কোন ধরনের সম্পত্তি নেই। গতকাল রোববার মহাখালীর বাসায় র‌্যাব অভিযান চালানোর সময় শারমিন গণমাধ্যমের কাছে স্ব-প্রণোদিত হয়ে বক্তব্য রাখে এবং এমন দাবি করে। কিন্তু তার এমন দারিব সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার এমন বক্তব্যকে অনেকে হাস্যকর বলেছেন। কারণ সম্রাটের এক ছেলে মালেয়শিয়ায় এবং মেয়ে বিদেশে পড়াশুনা করে।



অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাকরাইলে যুবলীগের কার্যালয়ের বিপরীত পাশে থাকা বিপাসা নামে একটি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। হোটেলের পাশেই রয়েছে একটি মদের বার। যদিও বারটিকে তেমনভাবে চোখে পড়ে না। কারণ চিপা গলি দিয়েই দ্বিতীয় তলায় থাকা বারে উঠতো হয়। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সম্রাট। এছাড়াও সম্রাটের কয়েকটি ফ্লাটের সন্ধ্যান মিলেছে। একটি রয়েছে মহাখালী ডিওএইচএসের ২৯ নম্বর সড়কের ৩৯২ নম্বরে অন্যটি শান্তিনগরের ১৩৮ এবং ১৩৮/১, ১৩৯ শান্তিনগরের রহমান ভিলায়। এছাড়াও তার ধানমন্ডিতে একটি ফ্লাট রয়েছে বলে জানা গেছে। স্ত্রীর দাবি, তার সঙ্গে দুই বছর ধরে সম্পর্ক নেই তাহলে তিনি কার টাকায় সংসার চালাতো, কার গাড়িতে ঘুরে বেড়াতো আর কার টাকাতেই বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতো? তবে সম্রাটের গ্রামের বাড়ি ফেনীতে নামে বেনামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।



শারমিন যখন কথা বলছিল, তখন তার মাঝে ছিল অতি উৎসাহী ভাব। এসময় শারমিন দাবি করে, সম্রাটের সঙ্গে তার দুই বছর ধরে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। তার স্বামী দুই বছর ধরে তার বাসায় যান না। আগে তাকে নিয়ে বিদেশে গেলেও গত দুই বছর আর তাকে সঙ্গে নেননি। শারমিন বলেন, সম্রাটকে ভাল মানুষ বলেই তিনি জানেন। কিন্তু তার নামে খোলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য।



শারমিনের ফেসবুক ঘেটে দেখা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর একটি স্টাটাস দিয়েছেন। তার আগে ২ অক্টোবর তিনি লিখেছেন ---বাস্তবে তো এটাই দেখছি। স্টিকার দুটির একটিতে ডেল কার্নেগি ও অন্যটিতে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি আজাদ আবুল কালামের বাণী ছিল। একটিতে লেখা ছিল-কাউকে শত্রু বানানোর জন্য ঝগরা করতে হয় না, তুমি ভাল কাজ করো এমনি তোমার শত্রু হয়ে যাবে। এছাড়াও গত ২৯ সেপ্টেম্বর শারমিন তার ফেসবুকের স্টাটাসে সম্রাটকে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা উপাধী দিয়ে একটি স্টাটাস দেন। আরেক স্টাটাসে কিছু মিডিয়া সম্রাটকে খারাপ প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে বলেও লিখে।



তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্রাট তার ডিওএইচএসের বাসায় না গেলেও গাড়ির চালকের খরচসহ পরিবারের সব খরচ ঠিকই দিতেন। তার প্রথম স্ত্রী বাড্ডায় থাকেন এবং তার একটি মেয়ে আছে। তিনি পড়াশোনা শেষ করেছে। সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী মহাখালীর ডিওএইচএসে থাকতো। তার এক ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সম্রাটরা তিন ভাই। এক ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। আরেক ভাই সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসা দেখাশোনা করতো। সম্রাটের মা ভাইদের সঙ্গে ঢাকায় থাকতো। ক্যাসিনো ব্যবসা করে এই সম্রাট কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। যা দিয়ে তিনি ফ্লাট, জমি, গাড়ি ও বাড়ি করেছেন। যদিও এসব তথ্য অস্বীকার করছে শারমিন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top