আবরার খুন করা হয়েছে, স্বীকার করতে বললেন শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৫৭

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৬

আবরার খুন করা হয়েছে, স্বীকার করতে বললেন শিক্ষার্থীরা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত হলেও সব ক্ষমতা নিজের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য ড. সাইফুল ইসলাম। ‍আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের তিনি বলেছেন, ‘আবরার হত্যায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে বহিষ্কার করা হবে। আমি শিক্ষা-উপমন্ত্রীর সাথে তোমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেছি। তোমাদের দাবিগুলোর সঙ্গে নীতিগতভাবে আমরা একমত। তবে আমার হাতে সব ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা অনুযায়ী তোমাদের দাবিগুলো মেনে নেবো।’



মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার পর নিজ কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের এসব কথা বলেছেন তিনি।বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ভিসি ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। পরে তাকে প্রায় ৪০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।



এ সময় শিক্ষার্থীদের শান্ত হয়ে কথা শুনতে বলেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শান্ত হলে ভিসি বলেন, ‘আমি শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তারা দেশের বাইরে আছেন। সেখান থেকে তারা যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন আমি তা পালন করছি। আমি তোমাদের দাবিগুলো দেখেছি। এসব নিয়ে তোমাদের শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে। আমি সব দাবি মেনে নিয়েছি।’



এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী উত্তেজিত হয়ে ভিসিকে বলেন, ‘আবরার খুন হওয়ার পর আপনি কই ছিলেন? গতকাল কেন এখানে আসেননি? আর আবরারকে খুন করা হয়েছে এটা স্বীকার করুন। তখন ভিসি বলেন, ‘আমি এখানেই ছিলাম। আমি গত রাত দেড়টা পর্যন্ত কাজ করেছি।’



এই বলে ভিসি চলে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ভিসি ভবনের নিচে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ভিসির সাথে বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।



অবরুদ্ধ অবস্থায় ভিসিকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তখন ভিসি বলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে এভাবে জবাবদিহি করব না। তোমরা কয়েকজন আসো, আমি আলোচনা করব।’ এটা বলার পর ‘শেম শেম’, ‘মানি না, মানি না’ বলে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে নানাভাবে বুঝিয়ে উপস্থিত শিক্ষক ও ডিনদের নিয়ে চলে যান ভিসি সাইফুল ইসলাম।



রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী, সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top