উপাচার্যকে আগামীকাল  ২টা পর্যন্ত সময় দিলো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত:
১১ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১৯

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৯

উপাচার্যকে আগামীকাল  ২টা পর্যন্ত সময় দিলো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম শুক্রবার বেলা ২টার মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা না বললে প্রতিষ্ঠানের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।



বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা না বললে ভর্তি পরীক্ষাসহ বুয়েটের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।



সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবারও ১০ দফা দাবি এবং এগুলোর অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা। এসময় তারা বলেন, যেসব দাবি জানানো হয়েছে সেগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।



আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। বুধবার তারা আরও দুই দফা দাবি বাড়িয়ে মোট ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্যের কার্যালয়ে দিয়ে আসেন।



শিক্ষার্থীরা যে ১০ দফা দাবির কথা বলে আসছেন সেগুলো হলো-



১. আবরার ফাহাদের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে খুনিদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।



২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শনাক্তকৃত সবাইকে ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।



৩. মামলা চলাকালে সব খরচ এবং আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। এ মর্মে অফিশিয়াল নোটিশ ১১ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে দিতে হবে।



৪. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করার জন্য বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বুয়েট প্রশাসনকে সক্রিয় থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ছাত্রদের আপডেট করতে হবে।



৫. অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিশিয়াল নোটিশ দিতে হবে।



৬. বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে বুয়েটের হলে হলে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে রাখা হয়েছে। জুনিয়র ব্যাচকে সব সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে যুক্ত করা হয়েছে। তাই আগামী সাত দিনের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এগুলোর কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।



 



৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। তিনি ৩৮ ঘণ্টা পরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন এবং কোনা প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। তাকে এর জবাবদিহি করতে হবে।



৮. আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগ এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং এ ধরনের সন্ত্রাসে জড়িত সবার ছাত্রত্ব প্রশাসনকে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লা হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে।



৯ আগে ঘটা এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ এবং পরে ঘটা যে কোনো ঘটনা প্রকাশের জন্য একটা কমন প্লাটফর্ম (কোনো সাইট বা ফর্ম) থাকতে হবে এবং নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনা রিভিউ করে দ্রুততম সময়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বুয়েটের বিআইআইএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে এবং ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে অগ্রগতি দৃশ্যমান হতে হবে।



১০ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্ৰ উৎখাতের ব্যাপারে ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top