৭ নভেম্বর পর্যন্ত ড. ইউনুসকে হয়রানি না করার নির্দেশ হাইকোর্টের


প্রকাশিত:
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২৮

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৪

৭ নভেম্বর পর্যন্ত ড. ইউনুসকে হয়রানি না করার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: নোবেল বিজয়ী . মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিমানবন্দরে নামার পর থেকে তাকে এই সময়ের মধ্যে ( নভেম্বর পর্যন্ত) গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।



-সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। পরে তিনি জানান, ড. ইউনূস দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন।



জানা গেছে, . মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক . ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় . ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।



এর আগে গত জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে . মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতির জন্য সমন জারি (নোটিশ) করেন।



মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদীরা গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের স্থায়ী পদে এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে কাজে যোগদান করেন। শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংগঠিত হওয়া নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী নিজেরাসহ অন্য শ্রমিক সহকর্মীদের নিয়েগ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ (প্রস্তাবিত) নামে একটি ইউনিয়ন গঠন করেন এবং তা আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেন। ইউনিয়ন গঠনের বিষয়টি জানতে পেরে মামলার আসামিরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনেও তারা বাধা দেন।



বাদীর প্রতি রকম অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে নানা ধরনের হুমকি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন আসামিরা। আসামিদের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বেআইনিভাবে বাদীদের প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কাজ থেকে বিরত রাখেন এবং কোনো কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে টার্মিনেট করেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top