চলে গেলেন অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা


প্রকাশিত:
৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৯

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৪

চলে গেলেন অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা মারা গেছেন। সোমবার ( অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।



বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করেন।



সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন বলেও জানান শায়রুল।



২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন খোকা। ২৯ নভেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর বিএনপি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঢাকা মহানগরের মেয়র ছিলেন তিনি।



২০১৪ সালের ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সময়কালে দেশে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা হয়। এর কয়েকটিতে তাকে সাজাও দেয়া হয়েছে।



খোকার শেষ ইচ্ছা



যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।



একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের গ্যারিলা যোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। এরপরও বারবার দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন খোকা। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে দেশে ফেরেননি।



বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও একাধিকবার তিনি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ভর্তি হওয়ার আগেও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকুর সঙ্গে ফোন করে দেশে আসার আকুতির কথা জানিয়েছিলেন খোকা।



সেটি স্মরণ করে গতকাল রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খোকার জন্য দোয়া মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ যখন আমরা স্বৈরাচার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করছি, তখন সাদেক হোসেন খোকাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। তিনি ক্যান্সার রোগে ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। আমি কয়েকবার তার সঙ্গে নিউইয়র্কে দেখা করেছি। প্রতিবারই তিনি আমাকে বলেছেন, যদি অসুস্থ না হতাম, তা হলে আমি দেশে গিয়ে জেলে যেতাম, মানুষের সঙ্গে থাকতাম।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top