নিউইয়র্কে খোকার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত, লাশ দেশে আসছে বৃহস্পতিবার
প্রকাশিত:
৫ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৫৯
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৪ নভেম্বর) নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বাদ এশা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার মসজিদে তার জানাজা হয়। জানাজা শেষে বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন তার বড় ছেলে ইশরাক ও ছোট ছেলে ইশফাক।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন,আমি বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার বাবার মৃত্যুর পরে হলেও পাসপোর্ট না হলেও দেশে নেয়ার জন্য ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করতে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। উনার দাফন বাংলাদেশেই হবে। আমার মা ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন
ছেলে ইশরাক হোসেন আরো বলেন, সবার ভালবাসা ও সমর্থনের কারণে বাবাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর এটাই ছিল তার শেষ ইচ্ছা। বাবা যখন প্রথম এখানে (নিউইয়র্কে) এসেছিলেন, তখন থেকেই উনি চতুর্থ ধাপের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ছিলেন। এখানে আসার পর আপনারা বাংলাদেশ কমিউনিটি যে সমর্থন দিয়েছেন, আমি ছেলে হিসেবেও সেই কাজগুলো উনার জন্য করতে পারিনি। উনার পাশে সবসময় থাকতে পারিনি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন খোকার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান ও নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি শামীম হোসেন।
মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার জানাজার সময় তার কফিনটি বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকায় মোড়ানো ছিল। জানাজা শুরুর আগে মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গণের এই বীর যোদ্ধাকে স্যালুট দিয়ে বিদায় জানান।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন নেসা জানান, সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। নিয়মানুযায়ী ফিউনারেল হোমের কাগজপত্র পাওয়া মাত্রই কনস্যুলেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
কনসাল জেনারেল জানান, সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ইসমত আরার জন্য ট্রাভেল পাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কনস্যুলেট অফিস দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তা দিয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: