ক্ষুদ্র ঋণে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৬

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪০

ক্ষুদ্র ঋণে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ক্ষুদ্র ঋণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচনের কথা বলা হলেও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না, বরং দারিদ্র্য লালন-পালন করা হয়। তিনি বলেন, এর প্রমাণ আমরা দেখেছি। চক্রবৃদ্ধি সুদের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়েছে।



এরমধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে অনেকেই বাহবা কুড়াতে চেয়েছিলেন। তবে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে কেউ কেউ বিশ্বব্যাপী সুনামও করেছিলেন। কিন্তু সেটি শুধু ছিল ব্যক্তিগত অর্জন বলেও এসময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘উন্নয়ন মেলা ২০১৯ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।



শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে কীভাবে সমবায়ের মাধ্যমে একত্রিত করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করে কীভাবে তাদের দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনা যায়, সেই পরিকল্পনাটাই জাতির পিতা নিয়েছিলেন। আর দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় একটা প্রচেষ্টা নিয়েছি। দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে কী কী কাজ করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা আমাদের কর্ম পরিকল্পনা নিই। আমাদের মূল শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য। কাজেই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। দারিদ্র্যের হাত থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কর্মপরিকল্পনা।



পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ব্যববস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ।



অনুষ্ঠানে কৃষকদের কল্যাণ দারিদ্র নিরসন এবং কৃষির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মাননা স্মারক মতিয়া চৌধুরীর হাতে তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে একটি সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট এবং ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।



গ্রামীণ এলাকা থেকে পিকেএসএফ সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা, গবেষণা তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং সেবামুখী সংগঠনসহ ১৩০টি সংস্থার মোট ১৯০টিরও বেশি স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে।



মেলায় রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কৃষি, খাদ্য এবং প্রচলিত পণ্য এছাড়া, দিনে ৫টি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে মেলায়। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top