হলি আর্টিজান হামলার রায় ২৭ নভেম্বর
প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৯
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:২৫

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা জন্য এ দিন ধার্য করেন। মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন— অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশিদ ও শরিফুল ইসলাম।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। ওই দিনই আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শুরু করেন। যুক্তি উপস্থাপন শুনানি আজ রবিবার শেষ হয়। সকালে কারাগার থেকে এ মামলার আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত বছরের ৮ আগস্ট আট জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। গত বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। ৩০ বছরের জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে এবং পাঁচ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ইতালির ৯ জন, জাপানের সাত জন, ভারতীয় একজন ও বাংলাদেশি দু’জন নাগরিক মারা যান। রাতভর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে। পরে সেখান থেকে পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার হয়। আর সাইফুলের সহকারী জাকির হোসেন শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: