আবরার হত্যা মামলায় পলাতক ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:১০
আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪৯

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক চার আসামি বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য (গ্রেফতার করা গেলো কিনা এ বিষয়ে প্রতিবেদন)দিন ধার্য করেন আদালত।
সোমবাব (১৮ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পলাতক আসামিরা হচ্ছে— মোর্শেদুজ্জামান জিসান,এহতেশামুল রাব্বি তানিম,মোর্শেদ ইসলাম ও মোস্তফা রাফিদ (এজাহার বহির্ভূত)।
এর আগে ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারে নাম রয়েছে ১৯ জনের। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারের বাইরে ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে আটজন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতার ২১ জন হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
এদিকে, আদালতে মামলার চার্জশিট পৌঁছানোর আগে আবরার হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম প্রতিবেদন জমার জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: